November 28, 2024
আন্তর্জাতিককরোনা

উ. কোরিয়ায় করোনা হলেই হত্যা, মার্কিন সেনা কর্মকর্তার দাবি

বিশ্বে কড়া গোপনীয়তা রক্ষাকারী দেশ উত্তর কোরিয়া। অন্য দেশগুলো থেকে এ দেশটি বলতে গেলে বিচ্ছিন্ন।

উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা একজন একনায়ক— কিম জং উন। তার নির্দেশ অনুযায়ী গোটা দেশ পরিচালিত হয়। কে কী খাবেন, কী পরবেন, এমনকি কীভাবে চুল কাটবেন তাও ঠিক করে দেন কিম। এমন একটি গোপন, জনবিচ্ছিন্ন দেশ কীভাবে করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলা করছে, তা জানতে আগ্রহী সারা বিশ্ব। এবার উত্তর কোরিয়ার করোনা ভাইরাস ঠেকানোর পদ্ধতি প্রকাশ্যে আনলো যুক্তরাষ্ট্র। এক মার্কিন সেনা কর্মকর্তার দাবি, সংক্রমণ রুখতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের গুলি করে মারছে পিয়ংইয়ং।

সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর (ইউএসএফকে) কমান্ডার রবার্ট আব্রাহাম। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাট্রেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) আয়োজিত একটি অনলাইন কনফারেন্সে অংশ নেন আব্রাহাম। সেখানেই তিনি বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মর্মান্তিক একটি পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে চিকিৎসার বদলে, দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর জন্য একটি বিশেষ বাহিনীও তৈরি করা হয়েছে, যারা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার দায়িত্ব পালন করছেন।

বিশ্বে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর একটি উত্তর কোরিয়া। তাদের একমাত্র সহযোগী দেশ প্রতিবেশী চীন। সেদেশ থেকেই প্রয়োজনের ৮৫ শতাংশ সামগ্রী আমদানি করে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু করোনা ভাইরাস ঠেকাতে জানুয়ারি মাসের শুরুতেই চীন সীমান্ত বন্ধ করে দেয় পিয়ংইয়ং। তাছাড়া, জুন মাসে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এর পাশাপাশি চীন সীমান্তের ২ কিলোমিটার আগে নতুন বাফার জোন তৈরি করা হয়। ফলে সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান অনেকটাই বন্ধ হয়ে যায় এবং এর প্রভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়।

সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা করাই এখন কিমের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই এখনই বড় কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেবে না পিয়ংইয়ং। কিন্তু সিএসআইএস প্রকাশিত একটি স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন করে মিসাইল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। নতুন মিসাইলটি সমুদ্রে লুকিয়ে থাকা সাবমেরিন থেকে ছোড়া সম্ভব। বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছে এমন মিসাইল রয়েছে। অর্থাৎ মহামারির মধ্যেও সামরিক ক্ষমতা বাড়ানোর দিকেই নজর উত্তর কোরিয়ার।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *