উয়েফার বর্ষসেরা ফন ডাইক
লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো উয়েফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডাইক।
প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে পুরস্কারটি জয়ের অনন্য কীর্তি গড়লেন ২৮ বছর বয়সী এই সেন্টার-ব্যাক। বৃহস্পতিবার রাতে মোনাকোয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র অনুষ্ঠানে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ফন ডাইকের নাম ঘোষণা করা হয়।
২০১৮-১৯ মৌসুমে ইংল্যান্ডে খেলা ফুটবলারদের ভোটে প্রফেশনাল ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড়ও হন ফন ডাইক। এবার জিতলেন আরও বড় পুরস্কার।
উয়েফার অঞ্চলগুলোতে ক্লাবগুলোর হয়ে খেলা ফুটবলারদের মধ্য থেকে ঘরোয়া, মহাদেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পারফরম্যান্স বিচার করে নির্বাচন করা হয় উয়েফা বর্ষসেরাকে।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সাউথ্যাম্পটন থেকে লিভারপুলে যোগ দেওয়া ফন ডাইকের গত মৌসুমটা এককথায় কেটেছে অভাবনীয়। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে এই সময়ে ৫৯টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে তার ভূমিকা ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে সবচেয়ে কম ২২ গোল হজম করে লিভারপুল। আর এমন জমাট রক্ষণের মূল কারিগর ছিলেন ফন ডাইক। আক্রমণেও ভূমিকা ছিল তার; ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে এসময়ে ৯টি গোল করার পাশাপাশি চারটিতে অবদান রাখেন তিনি।
ইউরোপা নেশন্স লিগের অভিষেক আসরে নেদারল্যান্ডসের ফাইনালে ওঠাতেও বড় অবদান ছিল ফন ডাইকের। শিরোপা লড়াইয়ে পর্তুগালের কাছে হেরে যায় তারা।
পুরস্কারটি সর্বোচ্চ তিনবার জিতেছেন রোনালদো। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুইবার জিতেছেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি। একবার করে জিতেছেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও ফ্রাঙ্ক রিবেরি।
মেয়েদের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন একজন ডিফেন্ডার, অলিম্পিক লিওঁর ইংলিশ ফুল-ব্যাক লুসি ব্রোঞ্জ।