উপাচার্য কার্যালয় ‘ভাঙচুরের’ ঘটনায় বিএসএমএমইউর মামলা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চাকরির নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে আন্দোলনের মধ্যে উপাচার্যের কার্যালয় ‘ভাংচুরের’ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে বিএসএমএমইউর রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর) শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি মো. আবুল হোসেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের নামে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
“মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত অপরিচয় আরও ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
বিএসএমএমইউতে ১৮০ জন মেডিকেল অফিসার ও ২০ জন ডেন্টাল চিকিৎসক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে এক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন শতাধিক চিকিৎসক।
গত ২০ মার্চ আট হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক ওই ২০০ নম্বরের ওই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন, যার ফল প্রকাশ করা হয় ১২ মে। পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে ওইদিন থেকেই আন্দোলনে নামেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা।
ঈদের পর গত ৯ জুন উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা লাঠিপেটা করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
যদিও আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের লাঠিপেটার কোনো ঘটেনি বলে জানায় পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করলেও আন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার তা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। দুপুরের দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
এরপর রাতে বিশ্ববিদালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করে।
বুধবার দুপুরে বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঙ্গলবারের ভাঙচুরের ঘটনায় প্রক্টরের পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়েছে শুনেছি। তবে আমি মামলার কাগজপত্র এখনও আমি দেখিনি।”
মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে সিন্ডিকেটের সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।