ঈদ টিকেট: ট্রেনের ২২ মে, বাসের ১৭ মে থেকে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রোজার ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা আগাম টিকেটি বিক্রির সময় নির্ধারণ করেছে রেলওয়ে ও বাস কোম্পানিগুলো। ঢাকা ও গাজীপুর থেকে থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে ২২ মে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন সোমবার বলেন, ৫ মে ঈদের দিন ধরে টিকেট বিক্রি কার্যক্রম চালাবেন তারা। ২২ তারিখ আমরা ২৯ তারিখের টিকেট বিক্রি করব। তা ২৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে। কমলাপুর ছাড়া ঢাকার চারটি এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে আগাম টিকেট বিক্রি হবে বলে জানান তিনি।
কমলাপুরে নিয়মিত টিকেট বিক্রি হত। এবার বনানী, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর রেলস্টেশন, ফুলবাড়িয়া নগর কাউন্টার এবং মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টার থেকেও আগাম টিকেট দেওয়া হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ১৫ মে সংবাদ সম্মেলন করে আগাম টিকেট বিক্রির বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ১৭ মে থেকে বাসের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়ে তা চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। ঈদের আগে ৩০ মে থেকে অগ্রিম টিকেটের বাসের যাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ ঘোষ।
তিনি সোমবার বলেন, ১৭ মে শুক্রবার সকাল থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হবে। ৬ জুন ঈদ হিসাব করে আমরা টিকিট বিক্রি শুরু করব। ওইদিন ৩০ মের টিকেট বিক্রি হবে। সেটা ৩০ তারিখ পর্যন্ত ওপেন থাকবে। যতক্ষণ টিকেট থাকবে ততক্ষণ বিক্রি চলবে।
রমেশ ঘোষ জানান, ঢাকার গাবতলী, মাজার রোড, কল্যাণপুর, শ্যামলী, কলেজগেট ও কলাবাগান এলাকায় বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার থেকে এসব টিকেট বিক্রি হবে। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল- এ চারটি বিভাগের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসের টিকেট বিক্রি হয় রাজধানীর গাবতলী ও আশপাশের এলাকা থেকে।
শ্যামলী, হানিফ, সোহাগ, গ্রিনলাইন, এস আর, নাবিল, ঈগল, এনা, দেশ ট্রাভেলস, আগমনী এক্সপ্রেসসহ প্রায় পঁচিশ বড় পরিবহন কোম্পানির বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হবে বলে জানান রমেশ ঘোষ। এ বছর রোজা শুরু হয়েছে গত ৭ মে থেকে। আর আগামী ১ জুন শনিবার দিবাগত রাতে পালিত হবে শবে কদর।
২০১৯ সালের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, রোজা ২৯টি ধরে ৪-৬ জুন ঈদুল ফিতরের ছুটি নির্ধারিত আছে। রোজা ৩০টি হলে ঈদ হবে ৬ জুন, সেক্ষেত্রে ৭ জুনও ঈদের ছুটি থাকবে। ৫ জুন ঈদ হলে তিন দিনের ঈদের ছুটির সঙ্গে দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৪ থেকে ৮ জুন টানা পাঁচদিন ছুটি পাওয়া যাবে। ৪ জুন ঈদের ছুটি শুরুর আগে ২ জুন থাকবে শব-ই কদরের ছুটি। এরপর ৩ জুন শুধু অফিস খোলা। প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে ৩ জুন ছুটি ঘোষণা করলে টানা নয়দিনের ছুটি মিলবে সরকারি চাকুরেদের।