January 20, 2025
আন্তর্জাতিক

ইরান-রাশিয়ার কাছে মার্কিন ভোটারদের তথ্য আছে : এফবিআই

ইরান ও রাশিয়ার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের তথ্য রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, ডেমোক্র্যাটিক ভোটারদের হুমকি দিয়ে মেইল পাঠানোর পেছনে ইরানের হাত আছে। দেশটির পাশাপাশি রাশিয়ার কাছেও যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের তথ্য রয়েছে।

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক জন র‌্যাটক্লিফ বলেন, ওই ই-মেইলগুলো কট্টর ডানপন্থী গ্রুপের আদলে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, ইরান এবং রাশিয়ার কাছে কিছু ভোটারের নিবন্ধন তথ্য রয়েছে।

আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের মাত্র ১৩ দিন আগেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এলো। কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ভোটারদের এসব তথ্য গুজব ছড়ানো বা ভুলভাবে অন্য কোনো কাজে ব্যবহৃত হতে পারে।

র‌্যাটক্লিফ আরও জানিয়েছেন যে, রাশিয়া থেকে একই ধরনের কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। তবে তাদের কাছেও ভোটারদের তথ্য রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যে ভোটারদের তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায়। কিছু রাজ্যে আবার আবেদন করতে হয়। এক এক রাজ্যের নিয়ম আলাদা।

এর আগে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছিল। বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে দেশটি। সে সময় ডেমোক্র্যাট কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাক করা হয়েছিল।

রাশিয়া এবং ইরান সাম্প্রতিক সময়ের ভোটারদের তথ্য কোথায় পেল বা কীভাবে সংগ্রহ করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এছাড়া তাদের কাছে কি ধরনের তথ্য রয়েছে সে বিষয়টিও পরিষ্কার নয়।

এ বছরের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন ডেমোক্র্যাট দলের জো বাইডেন।

ইতোমধ্যে অনেক অঙ্গরাজ্যের জনগণ আগাম ভোট দিয়েছেন। ট্রাম্পের চেয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এ ফলাফলে এগিয়ে আছেন। ৪৫টি অঙ্গরাজ্যে ২৯ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ অগ্রিম ভোট প্রদান করেছেন।

এই ভোটের প্রায় অর্ধেক পড়েছে বাইডেনের গাধা মার্কায়। তিনি পেয়েছেন ১৪.২ মিলিয়ন ভোট। অন্যদিকে রিপাবলিকান দলের হাতি মার্কায় ভোট পড়েছে ১০.১ মিলিয়ন।

অগ্রিম ভোটের ফলাফলে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। আমেরিকানদের ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সময় একটি নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করতে হয়। তার মানে এই না যে, তারা কখনো মতামত পাল্টাবেন না। যারা এখনো ভোট দেয়নি তাদের ভোট যেমন গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ অনিশ্চয়তাপূর্ণ এলাকার গণরায়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *