ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা, সৌদি আরবে সৈন্য পাঠাচ্ছে পেন্টাগন
ইরানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই সৌদি আরবে মার্কিন সেনা মোতায়েনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পেন্টাগন।
মধ্যপ্রাচ্যে ‘উদ্ভূত হুমকি’ থেকে মার্কিন স্বার্থকে রক্ষা করতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, বলেছে তারা।
পেন্টাগনের ঘোষণার পাশাপাশি সৌদি আরবও তার দেশে মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বাদশা সালমান ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে’ দেশে মার্কিন সেনা উপস্থিতিতে অনুমোদন দিয়েছেন, সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বিবিসি।
পারস্য উপসাগরে তেলবাহী ট্যাংকার চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে তেহরানের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যেই ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যে তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশটিতে সৈন্য পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত নিল।
ইরাকের কুয়েত দখলের পর ১৯৯১ সালে ‘অপারেশন ডেজার্ট স্টর্মের’ মাধ্যমে সৌদি আরবে মার্কিন সেনা মোতায়েন শুরু হয়েছিল।
২০০৩ সালের পর সেটি বন্ধ রাখা হয়। ওই বছর ইরাক অভিযান শেষে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি ঘাঁটি থেকে তার সৈন্যদের ফিরিয়ে আনে।
এবার পেন্টাগন সৌদি আরবের প্রিন্স সুলতান ঘাঁটিতে বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা প্যাট্রিয়ট ও ৫০০ সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘাঁটিটিতে এফ-২২ জঙ্গিবিমানের একটি স্কোয়াড্রন পাঠানোরও পরিকল্পনা আছে।
সৌদি আরবে মার্কিন সেনা মোতায়েনের এ ঘটনা তেহরান-ওয়াশিংটন উত্তেজনায় ঘি ঢালবে বলে আশঙ্কা পর্যবেক্ষকদের।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে।
তেহরানের তেল রপ্তানি বন্ধে ওয়াশিংটনের একের পর এক পদক্ষেপও দুই দেশকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে।
সম্প্রতি ইরান যুক্তরাষ্ট্রের একটি মনুষ্যবিহীন ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিতও করেছে। বৃহস্পতিবার হরমুজ প্রণালীতে মার্কিন নৌযান ইউএসএস বক্সার একটি ইরানি ড্রোনকে ভূপাতিত করেছে বলে ওয়াশিংটন দাবি করলেও তেহরান তা উড়িয়ে দিয়েছে।