ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে হবে সব দেশকে: এরদোয়ান
ইরানের পরমাণুবিষয়ক চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী পশ্চিমা দেশগুলোকে সমঝোতায় ফিরে এসে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেব তাইয়্যেব এরদোয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ নভেম্বর) তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা ‘ইকো’র ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান তিনি।
এসময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়ন করা হলে, তবে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। তিনি ইরানের ওপর আরোপিত একতরফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
পাঁচ মাস বিরতির পর আজ, সোমবার (২৯ নভেম্বর) অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরান ও পাঁচটি দেশের মধ্যে নতুন করে পরমাণু সমঝোতা ইস্যুতে আলোচনা হতে যাচ্ছে।
ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকার একতরফা ও অবৈধভাবে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা প্রত্যাহার করার লক্ষ্য নিয়ে ইরান এ আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরানের অবস্থানের প্রতি রাশিয়া ও চীনেরও সমর্থন রয়েছে। পরমাণু সমঝোতার কোনো পক্ষ না হওয়ায় আমেরিকা আলোচনায় সরাসরি যোগ দিতে পারছে না।
সম্প্রতি আমেরিকাকে বাস্তবতা মেনে নিতে হবে উল্লেখ করে ইরানের প্রধান পরমাণু আলোচক আলী বাকেরি কানি, ২০১৫ সালে সই হওয়া পরমাণুবিষয়ক সমঝোতার ধারা ও শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানান। আলী বাকেরি কানি বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে হবে যে, ২০১৫ সালে পরমাণু সমঝোতায় তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেগুলো তারা মেনে চলতে প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এসেছিলেন। তবে এখন ওয়াশিংটন বলছে, তারা আবার চুক্তিতে ফিরে আসার বিষয়টি বিবেচনা করছে। বাইডেন প্রশাসন এর আগে জানায়, ভিয়েনায় যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও যোগ দেবে। পশ্চিমা দেশগুলো কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় আসার জন্য ইরানের প্রতি আহবান জানিয়ে আসছিল।