ইরাক ছাড়ার ‘বার্তা’ অস্বীকার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে পেন্টাগনের এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী মার্ক এস্পার বলেন, “ছেড়ে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”
বিবিসি জানিয়েছে, ইরাকের পার্লামেন্ট সদস্যরা মার্কিন বাহিনীকে ইরাক ছাড়ার আহ্বান জানানোর পর ‘কম্বাইন্ড জয়েন্ট অপারেশন্স’ এর উপপরিচালক আবদুল আমিরকে পাঠানো মার্কিন জেনারেলের ওই চিঠিতে বলা হয়, “আসছে দিন ও সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীগুলোর অবস্থান পুনর্বিন্যাস করতে পারে”।
চিঠিটি ইরাকে মোতায়েন মার্কিন মিলিটারি টাস্ক ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইলিয়াম এইচ সিলে পাঠিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এতে বলা হয়, “স্যার, রিপাবলিক অব ইরাকের সার্বভৌমত্বের প্রতি যথাযোগ্য শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং ইরাকি পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দ্বারা অনুরুদ্ধ হয়ে সিজেটিএফ-ওআইআর (কম্বাইন্ড জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স-অপারেশন ইনহ্যারেন্ট রিসলভ) এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে আসছে দিন ও সপ্তাহগুলোতে বাহিনীগুলোর অবস্থান পুনর্বিন্যাস করতে পারে।”
এতে আরও বলা হয়, “ইরাকের বাইরে যাওয়ার বিষয়টি নিরাপদ ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা নিশ্চিত করতে রাতে বিমান চলাচল বৃদ্ধিসহ নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।”
বাগদাদের গ্রিন জোনে জোট বাহিনীর আরও সেনা আনা হচ্ছে না, চিঠিতে এমন নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়।
এই চিঠির সূত্র ধরেই ‘ইরাক থেকে মার্কিন বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার জন্য সৈন্যদের পুনর্বিন্যস্ত করা হচ্ছে, ইরাকি কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী’, এমন খবর প্রকাশ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ অন্যান্য গণমাধ্যম।
প্রকাশিত খবর অস্বীকার করে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এস্পার বলেন, “ইরাক ছেড়ে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি জানিনা, ওই চিঠিটি কী। তাতে কী আছে, কোথা থেকে এসেছে আমরা তা বের করা চেষ্টা করছি।
“কিন্তু ইরাক ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”
মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ মার্ক মিলি ঘটনাটি ‘ভুল’ করে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
চিঠিটি দুর্বল শব্দে লেখা একটা খসড়া ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। চিঠিটিতে কোনো স্বাক্ষর করা হয়নি এবং এটি প্রকাশ করাও উচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
চিঠিটি বিভিন্ন হাত ঘুরে সাংবাদিকদের হাতে এসে পড়ে ‘হট্টগোল’ বাঁধিয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্যরা সরছে না বলে তিনিও নিশ্চিত করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের বের করে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাস করেছে ইরাকি পার্লামেন্ট।