ইরাকে ইরানের হামলায় ‘আহত ১১ মার্কিন সেনা চিকিৎসা নিয়েছেন’
কুদস বাহিনীর কমান্ডার কাসেম সোলেমানি হত্যার বদলায় ইরান ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল, তাতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ১১ মার্কিন সৈন্যকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড এ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের ৮ জানুয়ারি হামলায় কোনো মার্কিন সেনা নিহত না হলেও ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের ফলে কয়েকজনের মধ্যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার লক্ষণ দেখা যায়; তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে রাখা হয়েছে,” বিবৃতিতে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন বিল আরবান।
বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে কাসেম সোলেমানিকে হত্যার কয়েকদিন পর পশ্চিম ইরাকে ও উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দি অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীর দুটি সামরিক ঘাঁটিতে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলে তখন পেন্টাগন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড ইরানের ওই হামলার পর কিছু সৈন্যর শারিরীক-মানসিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে তাদেরকে জার্মানি ও কুয়েতের বিভিন্ন স্থাপনায় নিয়ে যাওয়া হয় বলেও জানিয়েছে।
“যখনই দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন, তখনি তাদের ফিরিয়ে আনা হবে,” বলেছেন বিল আরবান।
পশ্চিম ইরাকের দুর্গম আনবার মরুভূমিতে অবস্থিত আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত এক হাজার ৫০০ সেনা আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইরানের হামলায় ঘাঁটিটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।