ইন্দোনেশিয়ায় সন্দেহভাজন জঙ্গির স্ত্রী, ছেলে ‘আত্মঘাতী’
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ায় এক সন্দেহভাজন জঙ্গির স্ত্রী ও ছেলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেদের উড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল দিনের প্রথম প্রহরের দিকে সুমাত্রার উত্তারাংশের সিবোলগা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক ঘন্টা ধরে উত্তেজনাপূর্ণ দরকষাকষির পর তারা নিজেদের বাড়িতেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটান।
স্থানীয় পুলিশ সদরদপ্তরে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত আছেন সন্দেহে আগের দিন ওই নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
এরপর পুলিশ ও বোমা স্কোয়াডের কর্মকর্তারা সিবোলগাতে তার বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলে। ওই সময় বাড়িটিতে সন্দেহভাজনের স্ত্রী ও তার ছেলে ছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় পুলিশের মুখপাত্র দেদি প্রাসাতিও জানিয়েছেন, পুলিশ, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও আত্মীয়-স্বজনরা ওই সন্দেহভাজনদের সঙ্গে দেনদরবার করে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলার পরও তারা বাড়ির ভিতরেই রয়ে যায়।
প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে অচলাবস্থা চলার এক পর্যায়ে ওই সন্দেহভাজন জঙ্গির স্ত্রী নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে একটি বিস্ফোরক বস্তু ছুড়ে মারে বলে অভিযোগ, এতে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও এক বেসামরিক আহত হন।
“রাত ১টা ২৫ মিনিটে ওই সন্ত্রাসীর স্ত্রী ও তাদের ছেলে বাড়ির ভিতরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দেন,” বলেন প্রাসাতিও।
বিস্ফোরণের ধাক্কায় উড়ে যাওয়া জিনিসের ভগ্নাংশ এক ব্লক দূরে গিয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পুলিশ ওই স্থানটি থেকে প্রায় ৩০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে।
সন্দেহভাজন জঙ্গির নিহত স্ত্রী ও সন্তানের বয়সের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস নিহত নারীর স্বামী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্কিত ইন্দোনেশিয়ার বৃহত্তম জঙ্গিগোষ্ঠী জেমাহ আনশারুত দৌলার (জেএডি) অংশ।
বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের আনুগত্য স্বীকার ও ‘সন্ত্রাসবাদ পরিচালনার’ জন্য গত বছর এই গোষ্ঠীটিকে আইনানুযায়ী ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
গত বছরের মে-তে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সুরাবায়া শহরে নয় বছর বয়সী এক বালকসহ পুরো পরিবার গির্জায় ও পুলিশ স্টেশনে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ৩০ জনেরও বেশি লোকের জীবন নিয়েছিল।
সিবোলগার এ ঘটনা সুরাবায়ার ওই ঘটনার কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে।