ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পরিচিত একজনের হাত ধরে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা থানাধীন ৩ নম্বর সড়কের ৩৫/১/বি ভবনের পঞ্চম তলায় হেলথ ভিশন নামে ওই অফিস-কাম বাসায় গেলে গণধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। ওই ঘটনায় দুইজনের নাম উলেখ করে শেরে বাংলানগর থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলা নম্বর-৪৯। চাকরির আবেদনের পর নাহিদ নামে এক তরুণের সঙ্গে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন। নাহিদসহ আরও একজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে বলে পুলিশকে জানান তিনি।
ঘটনার অভিযোগ পেয়ে জড়িত অভিযোগে ফাহিম আহমেদ ফয়েজ (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুনশী বলেন, মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত দু’জনের মধ্যে ফয়েজ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত পলাতক। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ওসি বলেন, মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য। এছাড়া ধর্ষণের আগে ওই তরুণীকে কোনো নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছে কিনা এ পরীক্ষার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায়।
তিনি আরো জানান, ওই ভবনে সিসিটিভি ফুটেজ আছে কিনা সব বিষয় নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পলাতক নাহিদকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের একটি সূত্র জানায়, এক বছরের পরিচয় নাহিদ পাটোয়ারির (৩২) সঙ্গে। সেই সূত্র ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও যোগাযোগ ছিল। ঘটনার দিন দুপুর ২টার পর ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয় ভুক্তভোগীকে। ইন্টারভিউ বোর্ডে দু’একটি প্রশ্নের পরই সিগারেট আর ওয়াইন অফার করা হয়। তখন না করলে কৌশলে কোকাকোলার সঙ্গে রেড ওয়াইন খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়। এরপর প্রথমে ফাহিম আহমেদ ফয়েজ ও পরে নাহিদ পাটোয়ারি (৩২) তাকে ধর্ষণ করে। চেতনা ফিরে পাওয়ার পর অনেক অনুরোধ করে বাসায় ফেরে চাকরিপ্রত্যাশী ওই তরুণী।