ইনিংস হার এড়াতে পারল না বাংলাদেশ
মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করতে না পারায় ইনিংস ব্যবধারে হার এড়ানো প্রায় অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল। দেখার ছিল লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানকে নিয়ে কতটা লড়াই করতে পারেন মুশফিকুর রহিম। খুব একটা পারেননি, প্রথম ঘণ্টাতেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
নিজেদের দিবা-রাত্রির প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৪৬ রানে হেরেছে মুমিনুল হকের দল। সফরে দুটি টেস্টই তিন দিনে ও ইনিংস ব্যবধান হারল বাংলাদেশ। ইন্দোরে হেরেছিল ইনিংস ও ১৩০ রানে।
দুর্দান্ত এই জয়ে বেশ কয়েকটি রেকর্ডও গড়েছে বিরাট কোহলির দল। দারুণ সময় কাটানো দলটি দেশের মাটিতে জিতল টানা ১২ সিরিজ। প্রথম দল হিসেবে টানা চার টেস্টে জিতল ইনিংস ব্যবধানে। বাংলাদেশের আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজের শেষ দুই টেস্টে হারিয়েছিল ইনিংস ব্যবধানে।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা সাত টেস্ট জিতল ভারত। এর সবকটিই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে। ৭ ম্যাচে ৩৬০ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় রয়েছে বিরাট কোহলির দল। ১১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে অস্ট্রেলিয়া। একমাত্র দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত রয়েছে ভারত।
আগের দিন হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিংয়ে ফিরেননি। মুশফিকের সঙ্গে তৃতীয় দিন শুরু করেন ইবাদত হোসেন। আগের দিনের সঙ্গে কোনো রান যোগ করার আগেই ইবাদতেকে হারায় বাংলাদেশ।
মুশফিক খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে। আল আমিনকে আড়াল দিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বাউন্ডারির দিকে ছিল তার মনোযোগ। আউট হন সেই বাউন্ডারির চেষ্টাতেই। প্রান্ত বদল করা উমেশকে ওড়ানোর চেষ্টায় ধরা পড়েন রবীন্দ্র জাদেজার হাতে।
৫৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা মুশফিকের ৯৬ বলে খেলা ৭৪ রানের ইনিংস গড়া ১৩ চারে।
পরের ওভারে আল আমিনকে কট বিহাইন্ড করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশকে গুঁটিয়ে দেন উমেশ। শেষ তিনটি উইকেটই নেন এই পেসার।
তৃতীয় দিন বাংলাদেশের ইনিংস টিকে ৪৭ মিনিট, ৮.৪ ওভার।
দেশের মাটিতে এই প্রথম ভারত কোনো টেস্ট জিতল যেখানে পেসাররা নিয়েছেন সবকটি উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রানে ৫ উইকেট নেওয়া উমেশ প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন তিনটি।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া ইশান্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৬ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসে দুটি উইকেট নিয়েছিলেন আরেক পেসার মোহাম্মদ শামি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩০.৩ ওভারে ১০৬
ভারত ১ম ইনিংস: ৮৯.৪ ওভারে ৩৪৭/৯
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৪১.১ ওভারে ১৯৫ (আগের দিন ১৫২/৬) (সাদমান ০, ইমরুল ৫, মুমিনুল ০, মিঠুন ৬, মুশফিক ৭৪, মাহমুদউল্লাহ ৩৯ (আহত অবসর), মিরাজ ১৫, তাইজুল ১১, ইবাদত ০, আল আমিন ২১, আবু জায়েদ ২*; ইশান্ত ১৩-২-৫৬-৪, উমেশ ১৪.১-১-৫৩-৫, শামি ৮-০-৪২-০, অশ্বিন ৫-০-১৯-০, জাদেজা ১-০-৮-০)।
ম্যাচের ফল: ভারত ইনিংস ও ৪৬ রানে জয়ী
সিরিজ: ভারত ২-০ এ জয়ী
ম্যাচ ও সিরিজ সেরা: ইশান্ত শর্মা