January 21, 2025
আন্তর্জাতিক

ইতিহাসে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম ঋণাত্মক

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম শূন্য ডলারেরও নিচে নেমে গেছে। মে মাসের মধ্যে তেল শোধনাগারের ধারণ ক্ষমতা ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তেল কেনার জন্য উল্টো ক্রেতাকেই অর্থ দিচ্ছেন উৎপাদনকারীরা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।

বিশ্বজুড়ে লকডাউন চলায় তেলের চাহিদা একেবারে কমে গেছে। ফলে ইতোমধ্যে উৎপাদিত তেল মজুদ করার জন্য ট্যাংকার ভাড়া করতে হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম ঋণাত্মক হয়ে গেছে।

সোমবার (২০ এপ্রিল) ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম কমে প্রতি ব্যারেল মাইনাস ৩৭ দশমিক ৬৩ মার্কিন ডলার হয়েছে, যা অভূতপূর্ব।

জুন মাসে যে ডব্লিউটিআই সরবরাহ করার কথা ছিল, তার দাম কমে প্রতি ব্যারেল ২০ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। অন্যদিকে ইউরোপ এবং বিশ্বজুড়ে মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ২৬ ডলার হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে লকডাউন জারি থাকলে জুন মাসে তেলের দাম আরও কমতে পারে।

করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বে তেলের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমেছে। ফলে তেলের দামেও নেমেছে ধস। এপ্রিলের শুরুতে ২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নামে দাম।

তেলের উৎপাদন কতটুকু হবে তা নিয়ে উৎপাদনকারীদের মধ্যে লড়াই এবং চাহিদা নিম্নমুখী হওয়ায় বিপাকে পড়েছে তেলশিল্প। চলতি মাসের শুরুতে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক এবং এর মিত্ররা বিশ্বজুড়ে তেলের উৎপাদন ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে দৈনিক প্রায় ৯৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমবে। এর আগে কখনো উৎপাদন এতটা কমানো হয়নি।

তারপরও বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, উৎপাদন যতটুকু কমানো হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। শুধু ওপেকের চুক্তি তেলের বাজারে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবে না।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *