ইতিহাসের মহানায়কদের কখনো টেনে নীচে নামানো যায় না
খুবিতে সেমিনারে ইউজিসি চেয়ারম্যান
দ: প্রতিবেদক
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেছেন, যুদ্ধ আপনা আপনি হয় না। আসলে যুদ্ধ জিনিষটাই হচ্ছে সৃষ্টি করা। তুচ্ছ ঘটনা নিয়েও যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে ইতিহাসে এমন নজীরও আছে। প্রভাব বলয় সৃষ্টি করতে, ভ‚-ভাগ দখলে, অন্যদেশের ও জাতিগোষ্ঠীর সম্পদ লুণ্ঠন করতে, শোষণ করতে অনেক যুদ্ধ হয়েছে এবং আজও হচ্ছে। প্রাসঙ্গিকভাবে তুরস্কের কামাল পাশাসহ আরও অনেকের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিহাসের যারা মহানায়ক তাদের টেনে কখনও নীচে নামানো যায় না। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত ৪৭ বছরে অনেকবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও নীচে টেনে নামানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তাঁর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস মহাসত্যকেই সবসময় ধারণ করে। তাই বঙ্গবন্ধুকে নীচে নামানোর সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি নজরুলের কথা তুলে ধরে বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের বহুমাত্রিক প্রতিভা ও কর্ম নানাভাবে বাঙালিকে উজ্জীবীত করেছে, প্রেরণা যুগিয়েছে। নজরুলের অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সাম্য, সৌহার্দ্যবোধ, মানবিক চেতনা আজও আমাদের প্রাত্যহিক স্মরণীয়, বরণীয় বিষয়।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক স্কুলের উদ্যোগে ‘কাজী নজরুল ইসলাম ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। পরে ইউজিসি চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত দেশের প্রথম সয়েল আর্কাইভ ল্যাব ও ফার্মেসী ডিসিপ্লিনের মৌলিকুলার ল্যাব পরিদর্শন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসনসোলস্থ কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. মোনালিসা দাস।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. শেখ মোঃ রজিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রবন্ধকারকে উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয় এবং সম্মাননা স্মারক উপহার দেওয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।