ইতালিফেরত ছেলের সঙ্গে এল ভাইরাস, মৃত্যু হল মায়ের
ভারতে আরেকজনের মৃত্যু ঘটিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস; ইউরোপ ফেরত সন্তানের মাধ্যমে তার দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল।
রাজধানী দিল্লির বাসিন্দা ৬৮ বছর বয়সী এই নারী শুক্রবার মারা যান বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভারতে এ নিয়ে দুজনের মৃত্যু ঘটল কভিড-১৯ রোগে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “৬৮ বছর বয়সী এই নারী পশ্চিম দিল্লির বাসিন্দা। তার মৃত্যুর কারণ ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।”
ওই নারী নিজে বিদেশে না গেলেও তার ছেলে সম্প্রতি ইতালি ও সুইজারল্যান্ড ঘুরে দেশে ফিরেছিলেন। পরে তার দেহে নভেল করোনাভাইরাস ধরা পড়ে, যা থেকে মায়ের দেহেও ছড়ায়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত ৫ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইতালি ও সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করেছিলেন ওই নারীর ছেলে।
২৩ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার পর কয়েকদিন পর তার জ্বর আসে, সঙ্গে কাশিও ছিল। গত ৭ মার্চ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছেলের পর মায়েরও জ্বর এলে তাকেও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
“ওই নারীর ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন ছিল। ইনফ্লুয়েঞ্জা হওয়ার পর ৯ মার্চ তার অবস্থার অবনতি ঘটে, তখন তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়,” বলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
দিল্লির রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ওই নারীর মৃত্যুর পর তাদের বাড়ির আশপাশের অন্তত ৫০টি ঘরের বাসিন্দাদের এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসে ভারতে প্রথম মৃত্যু ঘটে গত সোমবার। কর্নাটকের ওই ব্যক্তির বয়স ছিল ৭৬ বছর।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৮২ জন বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যে দিল্লির সাতজন, যার একজনের মৃত্যু হল।
এছাড়া কেরালায় ১৯ জন, মহারাষ্ট্রে ১৪ জন, উত্তর প্রদেশে ১০ জন, কর্নাটকে ছয়জন কভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছে। হরিয়ানায় ১৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে, তাদের সবাই বিদেশি।
আড়াই মাসে মহামারীর আকার পাওয়া নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের ১২৩টি দেশ ও অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
চীনের পর এই ভাইরাসে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা ইতালিতে ১০১৬ জন। চীনে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ১৭৩ জন।