ইতালিতে করোনায় মৃতদের গড় বয়স সাড়ে ৭৮ বছর
বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুর সংখ্যায় সব দেশকে পিছনে ফেলেছে ইতালি। দুদিন আগে মৃত্যুর হিসাবে চীনকেও ছাড়িয়ে যায় ইউরোপের এ দেশটি। শুক্রবার রেকর্ড ৬২৭ জনের মৃত্যু হয়। দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩২ জনে।
গবেষণা বলছে, যে কোনো বয়সের মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হতে পারেন। তবে বৃদ্ধ ও যারা দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভুগছেন তাদের জন্য এটা বিপজ্জনক।
এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে ১৮৫ দেশ ও অঞ্চলের ১১ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন পৌনে তিন লাখের বেশি মানুষ।
আর ইতালিতে যারা করোনায় মারা গেছেন তাদের গড় বয়স সাড়ে ৭৮ বছর।চীনের ৫০ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের মধ্যে এ ভাইরাসে মৃত্যুহার ১ শতাংশের কিছু বেশি। তবে ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশের জন্য এটা ছিল মারাত্মক।
একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটেনভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ ভাইরাস সক্রমণ প্রতিরোধ করতে ‘সামাজিক দূরত্ব’ থেকে বেশি কার্যকর ‘শারীরিক দূরত্ব’।
ডাব্লিউএইচওর মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. মারিয়া কেরখোভ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ইন্টারনেটের ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে এ ভাইরাস বিষয়ে সংযুক্ত থাকার উপায়গ সন্ধান করুন। কারণ আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের তুলনায় আপনার মানসিক স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি একটি মহামারি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় চীনের উহানের অভূতপূর্ব উন্নতিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রস আধানম গ্রেবিয়াসিস। গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে স্থানীয়ভাবে নতুন করে কেউ সংক্রমিত হয়নি।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্য দেশের জন্য এটা আশাবাদের বিষয় যে সবচেয়ে মারাত্মক পরিস্থিতিও ঘুরিয়ে দেওয়া যেতে পারে।