ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে আবারও কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ছে
কয়েক সপ্তাহের পরিসংখ্যান বিবেচনায় ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে আবারও কোভিড-১৯ সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং পর্তুগালে সংক্রমণ বৃদ্ধি চোখে পড়ার মত। আর মধ্য এশিয়ায় সংক্রমণের হার সুষম থাকলেও সংক্রমণের সংখ্যা উদ্বেগজনক।
গত একদিনে বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭১ জনের। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩১৫ জনের। একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৮২ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৬৩ লাখ ৩৪ হাজার ১১৪ জনের। অদৃশ্য ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৫১ কোটি ৬৮ লাখ ৬১ হাজার ২২০ জনের বেশি মানুষ।
ইউরোপে শনাক্তের শীর্ষে রয়েছে জার্মানি। দেশটিতে গত একদিনে ৮৩ হাজার ৯৯ এবং এখন পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৬৯ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে ৭৯ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ২৯২ জনের।
জার্মানির প্রতিবেশী ফ্রান্সেও বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৬৫ হাজার ৪২৫ জনের করোন শণাক্ত হয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭ জন। আরেক ইউরোপীয় দেশ ইতালিতে গত একদিনে শনাক্তের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪৭৪ জন, মৃতের সংখ্যা ৭৩ জন।
সংক্রমণ বেড়েছে মধ্য এশিয়ার জাপানেও। দেশটিতে গত একদিনে ১০ হাজার ২০৪ এবং এখন পর্যন্ত মোট ৯০ লাখ ৬১ হাজার ৯৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে ১৯ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজার ৯১০ জনের। দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৭৬৮ জন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছে।
মহামারি শুরুর প্রায় এক বছর পর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে করোনার ঢেউ অনেকটা কমে আসে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজের ওপর জোর দিচ্ছে। করোনার প্রকোপ থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে বিশ্ব। এখন পর্যন্ত বিশ্বের যেসব দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল সবই প্রায় তুলে নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা তুলেছে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রও।