ইউরোপ-আমেরিকার পর ট্রায়ালে চীনের ভ্যাকসিনও ‘সফল’
মধ্যপর্যায়ের ট্রায়ালে সফলতা পেয়েছে চীনের তৈরিকৃত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি। এ ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা গবেষকরাই এমন দাবি করছেন বলে বুধবার (১৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, এ ট্রায়ালে ৭০০ মানুষের ওপর কাজ করা হয়েছে। যেখানে সিনোভেক বায়োটেকের তৈরিকৃত করোনার ভ্যাকসিনটি দ্রুত ইমিউন তৈরিতে সক্ষম হয়েছে।
ইউরোপ-আমেরিকার তৈরিকৃত ভ্যাকসিনগুলোর ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতার প্রতিবেদন প্রকাশের পরই এমন ঘোষণা দিয়েছেন চীনের গবেষকরা। যদিও বড় পরিসরেই ট্রায়াল হয়েছে ইউরোপ-আমেরিকার ভ্যাকসিনগুলোর। সেক্ষেত্রে ৭০০ মানুষের ওপর চালানো এ ট্রায়াল তুলনামূলক কমই বলা চলে।
এদিকে, মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তৈরিকৃত সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রায় ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর বলে দাবি করেছে এর প্রস্তুতকারক মার্কিন জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি মর্ডানা। সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
শেষ ধাপের ওই ট্রায়ালে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার মানুষের দেহে ভ্যাকসিনটি পুশ করা হয়। এর মধ্যে অর্ধেককে ৪ সপ্তাহের ব্যবধানে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেয়া হয়। এ ছাড়া বাকিদের দেয়া হয় নামমাত্র ইনজেকশন। সেগুলোতে ভ্যাকসিনের কোনো ডোজ ছিল না।
এছাড়া মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক বলছে, তাদের তৈরিকৃত ভ্যাকসিনটি ৯০ শতাংশ কার্যকর। তারা দাবি করছে, ৬ দেশে ৪৩ হাজার ৫০০ জন মানুষের দেহে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালিয়ে প্রাথমিকভাবে এমন ফল পাওয়া গেছে।