ইউক্রেন ইস্যুতে কী কথা হলো চীন-যুক্তরাষ্ট্রের?
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েনের পর ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। ওয়াশিংটন বলছে, ক্রিমিয়ার মতো পুরো ইউক্রেন দখল নিতে এই তৎপরতা চালাচ্ছে ক্রেমলিন।
রাশিয়ার এই আগ্রাসন ঠেকাতে কঠোর বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। একই সঙ্গে ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞার কথাও বলছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আলোচনায় বসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। সেই বৈঠকে ছিলেন ফ্রান্স ও জার্মান প্রতিনিধিরাও। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দেশ দুটি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও ইউক্রেন ও রাশিয়া নিয়ে উত্তেজনা যেন কমছেই না। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্বের দুই প্রান্তের মোড়ল দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় বসে। আলোচনার পর ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে চীন।
বৈশ্বিক নিরাপত্তা এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ঝুঁকির বিষয়েও আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বুধবার গভীর রাতে টেলিফোনে ইউক্রেন সম্পর্কে কথা বলেন। তাদের সেই বৈঠকের পর দেশটি নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানানো হয়।
ইউক্রেন নিয়ে চলমান উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়াকে কূটনৈতিক পথের প্রস্তাব দিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে উত্তেজনা ছড়ায় বা চলমান সঙ্কট বেড়ে যায়—এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ইউক্রেন যেন ন্যাটো জোটে যোগদান না করে, সে বিষয়েও আহ্বান জানিয়েছে চীন। যুদ্ধের মাঠে নয়, আলোচনার টেবিলে সমস্যা সমাধানের কথাও জানিয়েছে দেশটি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে এই সঙ্কট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র একমত। তবে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধ না হলে পশ্চিমা মিত্ররাও বসে থাকবে না।