ইউক্রেনে পারমাণবিক হামলার ঝুঁকি বাড়ছে
ইউক্রেনে পারমাণবিক হামলার ঝুঁকি বাড়ছে। ইউক্রেনের তীব্র হামলার মুখে শনিবার দোনেতস্ক অঞ্চল সংলগ্ন লাইম্যান এলাকা থেকে রাশিয়া সেনা প্রত্যাহারের পর এই সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
লাইম্যান শহরটিকে রাশিয়ার দখল করা দোনেতস্ক অঞ্চলের উত্তরে রসদ ও পরিবহন কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ইউক্রেনের সেনারা গত সপ্তাহে শহরটিকে ঘিরে ফেলে। শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা দপ্তর জানায়, ‘ঘেরাও করার হুমকির কারণে বাহিনীকে ক্রাসনি লাইম্যান থেকে আরও ভালো অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ এর এক ঘণ্টা পরেই লাইম্যানে প্রবেশ করে ইউক্রেনীয় সেনারা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার পুতিনের অনুগত হিসেবে পরিচিত চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আগ পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় সামরিক আইন জারি করা এবং কম ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত।’
এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ পারমাণবিক ব্যবস্থা সক্রিয় করতে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
গত সপ্তাহে খোদ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, তিনি কোনো ফাঁকা হুমকি দিচ্ছেন না। রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে তিনি প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন। শুক্রবার ইউক্রেনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন পুতিন। তিনি ওই অঞ্চল চারটিকে এখন থেকে রাশিয়ার নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে রাশিয়ার পারমাণবিক হামলার সম্ভাবনা বাড়ছে। ইউক্রেনের বাহিনীর যদি এভাবে তাদের এলাকা পুনর্দখল করতে থাকে তাহলে হয়তো পুতিন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের সুইচটিতে চাপ দিয়ে বসবেন।