ইউক্রেনে নিষ্ঠুর রুশ হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ হামলার জবাবে সোমবার (১০ অক্টোবর) ইউক্রেনজুড়ে মিসাইল হামলা চালিয়েছে পুতিন বাহিনী। যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো কিয়েভের কেন্দ্রস্থলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোসহ ইউক্রেনজুড়ে বহু শহরে বোমাবর্ষণের পরে ব্যাপক নিন্দা ও সমালোচনার মুখে পড়েছে রাশিয়া।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সোমবারের এ হামলাকে নিষ্ঠুর বলে আখ্যায়িত করে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়ার নিষ্ঠুর এ হামলা একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিশুদের খেলার মাঠসহ বেসামরিক বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এমন ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত।
এ বিষয়ে ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়ার সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে শনিবারের বিস্ফোরণের প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ইউক্রেন বলেছে, সোমবার ইউক্রেনজুড়ে ৮৩টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে ৪৩টিরও বেশি গুলি করে নামানো হয়েছে।
এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনকে ভয় দেখানো যাবে না। এটি কেবল আরও ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।
এ ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছে, সোমবারের হামলায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন বলেছেন, রাশিয়া সন্ত্রাস ও বর্বরতার পক্ষে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবারের এ হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার জন্য উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
এদিন (সোমবার) রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও লভিভ, খারকিভ, ডিনিপ্রো এবং জাপোরিঝিয়া শহরেও বড় ধরনের হামলা হয়েছে। এতে অন্তত ১৪ জন নিহত এবং আরও অনেক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।