April 20, 2025
আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে তীব্র শীতের মধ্যে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ৬০ লাখ মানুষ

রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনে অন্তত ৬০ লাখ মানুষ এখনো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাতে এ কথা জানিয়েছেন। তীব্র শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ-পানি না থাকায় দেশটিতে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।

এক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, আজ রাত পর্যন্ত কিয়েভসহ ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চলে ব্লাকআউট (বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকা) অব্যাহত রয়েছে।

তবে গত বুধবারের তুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে দাবি করলেও তিনি জানিয়েছেন, শীতের মধ্যে ইউক্রেনে এখনো লাখ লাখ মানুষ আলো, পানি ও তাপবিহীন অবস্থায় দিনযাপন করছেন।

জেলেনস্কি বলেন, রুশ হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী কিয়েভ ও এর আশপাশের অঞ্চলগুলো। এসব এলাকার অনেক বাসিন্দা ২০ থেকে ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।

তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে দক্ষিণে ওডেসা, পশ্চিমে লভিভ এবং ভিনিৎসিয়া ও দিনিপ্রোপেত্রোভস্কের মতো মধ্যাঞ্চলীয় শহরগুলো।

বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল হতে শুরু করলেও সবাইকে এটি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, আপনার বাড়িতে যদি বিদ্যুৎ থাকে, তার মানে এই নয় যে সমস্যা কেটে গেছে। তাই দয়া করে বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকলেই একাধিক শক্তিশালী বৈদ্যুতিক যন্ত্র চালাবেন না।

জেলেনস্কি বলেছেন, আমাদের এই শীত সহ্য করতে হবে। এমন একটি শীতকাল, যা সবাই মনে রাখবে।

গুরুত্বপূর্ণ বৈদ্যুতিক অবকাঠামোগুলোতে রাশিয়ার আক্রমণের পাশাপাশি ইউক্রেনের ভয় বাড়াচ্ছে হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা ও তুষারপাত। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এগুলোর ফলে দেশটিতে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট তৈরি হতে পারে।

ইউক্রেন ও এর পশ্চিমা মিত্রদের অভিযোগ, বেসামরিক অবকাঠামোয় হামলা চালিয়ে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো।

শুক্রবার খেরসনের আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন, অনবরত হামলার মুখে হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

নগর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পূর্বাঞ্চলীয় শহরটিতে এ সপ্তাহে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *