ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান রাশিয়ার
মারিওপোলে ইউক্রেনের সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে রাশিয়া বলেছে, যারা অস্ত্র সমর্পণ করবে তাদের জীবনের নিশ্চয়তা দেয়া হবে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই বলেছেন, মারিওপোলে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করার অর্থ হলো আলোচনার সমাপ্তি টেনে দেওয়া। খবর বিবিসির।
এদিকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে মারিওপোলে আরও কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। অন্যদিকে কিয়েভের মেয়র শহরের নাগরিকদের রাশিয়ার আরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। একইসঙ্গে যারা শহর ছেড়ে পালিয়েছেন তাদের ফিরে না আসার অনুরোধ করেছেন।
রাশিয়া বলছে, পশ্চিমা অস্ত্রবাহী ইউক্রেনের একটি সামরিক বিমান তারা ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে ওডেশা শহরের বাইরে এই ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে নিরপেক্ষ কোন সূত্র থেকে এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
মারিওপোলে জীবন রক্ষার সুযোগ হিসেবে ইউক্রেনের সৈন্যদের রোববারের (১৭ এপ্রিল) মধ্যে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।
দেশটি বলছে, এ সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ করলেই কেবল তাদের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। এজন্য তারা কিয়েভের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদের নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে
তারা বলছে, ইউক্রেনের যেসব সৈন্য ও বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধারা মারিওপোলে এখনো লড়াই করছে, তারা স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করলে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
যারা এটা করবে তাদের বন্দী হিসেবে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী আচরণ করা হবে। তবে যারা আত্মসমর্পণ করবে না তাদের বিষয়ে কী হবে সে সম্পর্কে দেশটি তাদের বিবৃতিতে কিছু উল্লেখ করেনি। রাশিয়ার দাবি ইউক্রেনের সৈন্যদের শহরটির একটি ছোট এলাকায় ঘিরে রাখা হয়েছে।
রাশিয়া ইউক্রেনে বিমান হামলা আরও জোরদার করেছে। কিয়েভের মেয়র আরও হামলার আশঙ্কায় শহরে না ফিরতে নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ করেছেন। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরেও বিস্ফোরণ শোনা যাচ্ছে।
তবে সেখানকার কর্মকর্তারা বলছেন যে, তারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে চারটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে রাশিয়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ কয়েকজন মন্ত্রীর দেশটিতে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর আগে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ওপরও একই ধরণের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
অপরদিকে কিয়েভের উত্তরে বুচা শহর থেকে রাশিয়ানরা চলে যাওয়ার পর সেখানকার অধিবাসীরা বাড়িঘর পুনরায় ঠিকঠাক করতে শুরু করেছে।