ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ দিন টিকতে পারবে না উইন্ডিজ: লারা
নিজ দেশের ক্রিকেটারদের প্রতি কি তবে এতটুকু বিশ্বাস নেই ব্রায়ার লারার? ক্যারিবীয় কিংবদন্তির কথা শুনলে আপনার তাই মনে হতে পারে।
বুধবার (০৮ জুলাই) শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর এটাই হতে যাচ্ছে করোনা পরবর্তী প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। কিন্তু লড়াই শুরুর আগে কোথায় মনোবল বাড়ানোর দাওয়াই দেবেন, উল্টো যেন স্বদেশি তারকাদের ‘হেয় প্রতিপন্ন’ করে কথা বললেন লারা।
সাবেক ক্যারিবিয়ান ব্যাটসমানের পরামর্শ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্যই চারদিন চার দিনে জয়ের চেষ্টা করা উচিৎ। কারণ পাঁচদিনে হলে পারবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সফরকারীদের বোলিং লাইন-আপ যথেষ্ট শক্ত, তবে তাদের ব্যাটসম্যানদের গড় তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। ২০১৭ সালের পর ইংল্যান্ড সফরে যাওয়া ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের শেষ ১৯ টেস্টের গড় মাত্র ২৩.৫৯।
সেই পরিসংখ্যান মাথায় রেখে লারার এই পরামর্শ। ৫১ বছর বয়সী ক্রিকেট কিংবদন্তি আরও বলেন, ‘ঘরের মাটিতে সহজে হারে না ইংল্যান্ড এবং তারা অপ্রতিরোধ্যভাবে ফেভারিট।’
লারা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটি খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তার ৪০০ রানের অপরাজিত ইনিংসটি এখনও রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অসংখ্য রেকর্ডের মালিকের কথা যে ফেলনা নয় তা সবাই জানেন।
১৩১ টেস্টে ১১৯৫৩ রানের মালিক অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান থেকেই জানেন, ইংলিশ কন্ডিশনে কেমন খেলা উচিৎ। সে জন্যই জানালেন, ইংলিশ কন্ডিশনে কত দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে তার ওপর নির্ভর করছে ক্যারিবিয়ানদের সিরিজ ভাগ্য।
ম্যাচে ইংলিশদের ওপর কর্তৃত্ব দেখানোর পরামর্শ দিয়ে লারা বলেন, ‘আমি মনে করি না তারা (উইন্ডিজ) পাঁচদিন টিকতে পারবে, তাই তাদের চারদিনেই ম্যাচটি নিয়ে নিতে হবে। তাদেরকে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং তা ধরে রাখতে হবে।’
তিন টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হবে সাউদ্যাম্পটনে। রোজ বোল স্টেডিয়ামে ‘ক্লোজড ডোর’ বা দর্শকশূন্য মাঠে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে হবে টেস্টটি। পরের দুই টেস্ট হবে ওল্ড ট্রাফোর্ডে। এই সিরিজের জন্য ৯ জুন থেকে ইংল্যান্ডে আছে ক্যারিবিয়ানরা।