December 22, 2024
জাতীয়বিশেষ সংখ্যা

আ-মরি বাংলা ভাষা

দ. প্রতিবেদক

আজ ৯ই ফেব্রæয়ারি। মহান ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রæয়ারির নবম দিন। আর মাত্র ১২দিন পর ৬৩তম শহীদ দিবস ও ১৫তম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে বাঙালী জাতি। সারা বিশ্বের বাঙালীরা স্বগৌরবে দিনটি উদযাপন করবে। ১৯৪৭ সাল থেকেই পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে এবং পাকিস্তান গণপরিষদের বাংলা বর্ণমালার আরবিকরণ প্রয়াস নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটি রূপ ছিল বাংলা ভাষায় আরফি হরফ প্রবর্তনের চেষ্টা। এর প্রধান প্রবক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফজলুর রহমান। নানা বক্তৃতা, বিবৃতি, সভা-সমিতির মাধ্যমে তিনি বাংলা ভাষায় প্রবর্তনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ক্রমাগত এ কথা প্রচার করতে থাকেন যে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংহতি এবং দুই অংশের জনগনের মধ্যে অর্থপূর্ণ ঐক্য গড়ে তোলা ও সুদৃঢ় করার জন্য পাকিস্তানের সকল ভাষার অক্ষর এক রকম হওয়া উচিত। হরফ পরিবর্তনের এই চক্রান্ত ভালোভাবে দানা বাঁধে ১৯৪৯ সালে।

এরপর ১৯৫০ সালের ১৮ই এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে পূর্ববাংলার বিভিন্ন জেলায় ২০টি কেন্দ্রে আরবি হরফে বাংলা ভাষার মাধ্যমে প্রাপ্ত বয়স্কদেরকে প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। একটি সরকারি সূত্র থেকে বলা যায় যে, প্রত্যেক শিক্ষাকেন্দ্রে ২৫ থেকে ৩০ জন ছাত্র ঐভাবে শিক্ষাগ্রহণ করতে শুরু করেছে এবং ছয়মাস কাল তারা ঐ কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষা লাভে নিযুক্ত থাকবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *