আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা, সংঘর্ষে নিহত ১
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছে পুলিশ, আসামিপক্ষের লোকজন ও গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে বন্দর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ অঞ্চল) খোরশেদ আলম জানান। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় আধাঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশের দুটি গাড়ি এ সময় ভাংচুরের শিকার হয়। পরে পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বন্দর থানার ওসি আজাহারুল ইসলাম জানান, নিহত আতিকুর রহমানের (২২) বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। নারায়ণগঞ্জের মদনপুরের চানপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। স্থানীয়রা জানান, মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খলিলুর রহমানের সঙ্গে স্থানীয় শ্রমিক নেতা আমির হোসেনের দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল।
এর জেরে গত ১৮ নভেম্বর খলিলকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে আমিরের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে খলিলের সমর্থকরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ বলেন, ওই ঘটনায় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করে। পুলিশ শনিবার রাতে ওই মামলার আসামিদের ধরতে চাঁনপুর এলাকায় গিয়ে হামলার মুখে পড়ে।
পুলিশ খলিলের সমর্থক দিপু ও সুজনকে আটক করলে তাদের সহযোগী ও এলাকার লোকজন টেঁটা, বলম ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে দিপু ও সুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের সহযোগীরা।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের এসআই মোহাম্মদ আলী, কনস্টেবল দেবাশীষ, কনস্টেল মনোয়ার, মোহনসহ ১৫ জন আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং রিফাত ও নুরনবী নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে বলে বন্দর থানার ওসি আজাহারুল ইসলাম জানান। তিনি বলেন, নিহত আতিকুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে বন্দর থানায় রাখা হয়েছে। বাবুল (২২) নামে গুলিবিদ্ধ এক যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, আহত বাবুল কুমিল্লার বাইতোলা গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।