আশ্রয় কেন্দ্রের তালা খুলতে ব্যর্থ হওয়ায় দু’ শিক্ষককে শোকজ
দাকোপ প্রতিনিধি
সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে দাকোপে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় যথা সময়ে সাইক্লোন শেল্টার না খোলায় দুটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় দাকোপ উপজেলা প্রশাসন সভা করে সর্বাতœক প্রস্তুতি গ্রহন করে সে মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়। নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ মে সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপজেলার সকল স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই দিন সকাল ১০টার পানখালী ১ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে গনমাধ্যমকর্মীরা সেটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। বিষয়টি তাৎক্ষনিক সরকারী দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নজরে আনা হয়। অনুরুপ অভিযোগ পাওয়া পানখালী ২ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে।
এ ঘটনায় সরকারী দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ এনে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম ওই দিনই পানখালী ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বাসন্তী বিশ্বাস এবং অপর অভিযুক্ত উপজেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পানখালী ২ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম শফিউল আজম সেলিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। গতকাল ৫ মে ছিল নোটিশের জবাব দেওয়ার শেষ সময়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন জবাব পাননি বলে জানিয়েছেন।
সচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়, মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক খুলনা, বিভাগীয় উপপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বিভাগ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে শোকজ নোটিশের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বাসন্তী বিশ্বাসের নিকট জানতে চাইলে তিনি শোকজের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সহকারী শিক্ষিকা কল্যানী রায়ের বাড়ী বিদ্যালয় সংলগ্ন হওয়ায় আমি সেটা খুলে রাখার জন্য তার উপর দায়িত্ব দিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি শাররীকভাবে অসুস্থ হওয়ায় কিছুটা দেরী হয়ে থাকতে পারে। প্রধান শিক্ষক এস এম শফিউল আজম সেলিমের সাথে কথা হলে তিনি, কারণ দর্শানো নোটিশ পেয়েছি বলে স্বীকার করেন।