আশুলিয়ার অপহৃত ব্যবসায়ীকে টাঙ্গাইলে উদ্ধার, আটক ৩
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ঢাকার আশুলিয়া থেকে অপহরণের তেরো দিন পর অপহৃত এক ব্যবসায়ীকে টাঙ্গাইলের বন থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে। গতকাল শনিবার ভোর রাতে টাঙ্গাইলের শফিপুর এলাকা থেকে ইদ্রিস খান নামের ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। ইদ্রিস খান আশুলিয়ার দরজিপাড়ার সরল খানের ছেলে। তিনি জমি কেনাবেচার ব্যবসা করেন।
আটকরা হলেন টাঙ্গাইলের শফিপুরের দায়রাপুর গ্রামের মৃত সূর্যত আলীর ছেলে মো. রাজ্জাক, কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের মালাল শেখর ছেলে এনামুল ও গাজীপুরের কাশিমপুর থানার হাতিমারা গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ে মাজেদা বেগম।
ইদ্রিস আলী বলেন, সিলেটে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ২০ বছরের পুরোনো বন্ধু রাজু তালুকদার গত ২৫ মার্চ রাতে তাকে অপহরণ করেন। নয়জনের এ চক্রটি অপহরণ করে টাঙ্গাইলের শফিপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে নিয়ে আটকে রাখে।
তারা এর আগেও রিমু নামে এক নারীকে দিয়ে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেছিল। ব্যর্থ হয়ে তারা সিলেটে যাওয়ার কথা বলে এভাবে আমাকে অপহরণ করে নিয়ে য়ায়। পরে ছেলে নাছিরের মোবাইল ফোনে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
ইদ্রিস আলী বলেন, যেখানে আমাকে আটকে রেখেছিল সেখানে বিদ্যুৎ ছিল না, সোলার প্যানেলের আলো জ্বলছিল। গহিন জঙ্গল। শিকল দিয়ে আমার হাত-পা বাঁধা ছিল। পাশেই তারা আমার জন্য কবর খুঁড়ছিল।
আশুলিয়া থানার এসআই মনিরুজ্জামান মোলা বলেন, তাদের পুলিশের দুইটি দল কাজ শুরু করে। একটি দল অপহরণকারীদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে সময় নিচ্ছিল। অপর দলটি অপহৃতের খোঁজে কাজ করছিল।
প্রথমে ইদ্রিসের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাজেদা বেগমকে আটক করি। তার তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের শনাক্ত করি ও অভিযান চালাই। অবশেষে ১১ দিন পর টাঙ্গাইলের শফিপুর থানার দায়রাপুর গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বনের ভিতরে রাজ্জাকের বাড়ি থেকে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়।
তার হাত-পা লোহার শিখল দিয়ে বাঁধা ছিল। ঘরটি দেখে মনে হয়েছে, বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। তবে অপহরণকারী চক্রের হোতা রাজু ও মুন্নাসহ অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।