November 25, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

আশপাশের সব ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ: ফায়ার সার্ভিস

রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস ঘাটে আগুন লাগা কারখানার ভবনসহ আশপাশের সব ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসে দেখি আশপাশের অনেক ভবনেই যত্রতত্র এ রকম বিভিন্ন ধরনের কারখানা গড়ে উঠেছে, যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। একদিকে ঘিঞ্জি এলাকা অন্যদিকে এসব কারখানায় যখন-তখন যেকোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পাশাপাশি অনেক ভবনে মানুষ বাসও করছেন। তাদের জন্যই ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে।

আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, আগুনের সূত্রপাত ঠিক কীভাবে সেটা এখনো নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। আমরা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তারপর জানতে পারবো আসলে কীভাবে আগুন লেগেছে।

তবে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জাগো নিউজকে বলেন, পাশের ভবনটিতে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং সেখান থেকে চারতলা ভবনের নিচতলায় থাকা হোটেলে আগুন লাগে। সেখান থেকে প্রচণ্ড বাতাসে ভবনের চারতলায় প্লাস্টিক কারখানায় ও গোডাউন যে তলায়, সেখানে আগুন লেগে যায়।

এদিন দুপুর ১২টার দিকে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর ২টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জাগো নিউজকে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার খালিদা ইয়াসমিন।

তিনি বলেন, চকবাজার কামালবাগের দেবীদাস ঘাটের একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লাগে। পরে আগুন একটি রেস্তোরাঁয়ও ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ১২টায় আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে ১২টা ৯ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ও পরে আরও চারটি ইউনিট পাঠানো হয়।

এদিকে স্থানীয় ও উৎসুক জনতার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে। মাইকিং করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বলেন, ‘আপনারা প্লিজ সরে যান, দূরে যান। আমাদের আগুন নেভাতে দেন।’ এরপরও সেখানে মানুষের জটলা কমছে না। কেউ দাঁড়িয়ে আগুন দেখছেন, কেউ ভিডিও করছেন, কেউ আবার ফেসবুকে লাইভ করছেন।

তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *