আল জাজিরা নিয়ে রিট: মতামত দিলেন ৬ অ্যামিকাস কিউরি
বাংলাদেশ নিয়ে সম্প্রতি আল জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদন ইন্টারনেট থেকে সরাতে করা রিটের ওপর মতামত দিয়েছেন ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি।
তাদের মতামত দেওয়ার পর সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন রেখেছেন
ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানি করবেন।
ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি হলেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, কামাল উল আলম, আবদুল মতিন খসরু, ফিদা এম কামাল, প্রবীর নিয়োগী এবং শাহদীন মালিক। তবে বেশিরভাগ অ্যামিকাস কিউরি রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মতামত দেন। তারা বলছেন, রিটটি দায়েরের আগে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনী নোটিশ দিতে পারতেন। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইনও রয়েছে।
একজন মতামত দিয়ে বলেন, আল জাজিরায় অভিযোগসহ ঘণ্টাব্যাপী একটা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করলো। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর নাম বললেও কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কোনো যোগসূত্র দেখাতে পারেনি। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীকে বিতর্কিত করা হলে রাষ্ট্রকেই বিতর্কিত করা হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এম রাসেল চৌধুরী। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ ছয় আইনজীবীকে এ রিটের বিষয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে।
ছয় আইনজীবী হলেন, এজে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল, কামাল উল আলম, আবদুল মতিন খসরু, প্রবীর নিয়োগী এবং শাহদীন মালিক।
‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি আল জাজিরায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রিট করেন ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন। রিটে আল জাজিরার বাংলাদেশে সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা এবং ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে আল জাজিরায় প্রচারিত বিদ্বেষপূর্ণ, মিথ্যা, মানহানিকর এবং বিভ্রান্তিকর ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রতিবেদন ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম থেকে থেকে সরানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিট আবেদনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে বিবাদী করা হয়েছে। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি রিটের গ্রহণযোগ্যতাসহ কয়েকটি বিষয়ে মতামত দিতে ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন।