November 29, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

আল জাজিরা ইস্যুতে মতিন খসরুসহ ছয় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ

কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ এবং বাংলাদেশকে নিয়ে করা প্রতিবেদন ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরানোর বিষয়ে মতামত শুনতে ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ছয় অ্যামিকাস কিউরি হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, শাহদীন মালিক, কামালুল আলম ও প্রবীর নিয়োগী।

এ সংক্রান্ত শুনানি নিয়ে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন। তার সাথে ছিলেন ব্যারিস্টার ফারজানা শায়লা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজা-ই রাকিব।

রিটের শুনানি চলাকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলেছেন, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এরইমধ্যে আল-জাজিরার প্রতিবেদনটি দেখেছেন। বিটিআরসি এতদিন কী করল, তারা বন্ধ করলো না কেন। আপত্তিকর কিছু সম্প্রচার বন্ধের বিটিআরসির ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেন আদালতের কাঁধের ওপর বন্দুক রাখা হচ্ছে? এখন এগুলো বন্ধ করা আর না করা সমান।

এরপর দেশে কাতারভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সম্প্রচার বন্ধে ও ভিডিও সরাতে হাইকোর্ট কোনো আদেশ দিতে পারে কিনা, সে বিষয়ে মতামত জানতে ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় তাদের মতামত শুনবেন আদালত।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সম্প্রচার বন্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে সংবাদমাধ্যমটির প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ প্রতিবেদনটি ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুকসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন এ রিট দায়ের করেন। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

আল জাজিরায় গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হয়। যা ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। প্রতিবেদনে উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। সরকারিভাবে এই প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *