আলোচনা সভায় আ’লীগ নেতৃবৃন্দ:বঙ্গবন্ধু’র ৭ই মার্চের ভাষণ ছিলো ,বাঙালি জাতির সকল দিকনিদের্শনা
খবর বিজ্ঞপ্তি
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ছিলো বাঙালি জাতির সকল দিকনিদের্শনা। এই ভাষণে বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের সকল ধরনের মুক্তির বার্তা ছিলো। বঙ্গবন্ধু’র ভাষণে যেমন মুক্তি, স্বাধীনতার কথা ছিলো তেমনি এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সহ সার্বিক নিরাপত্তার নির্দেশনা। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু’র ১৯ মিনিটের অলিখিত ভাষণ বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। ইউনেস্কো এই ভাষণকে “মেমরী অব দ্যা ওয়াল্ড” আখ্যায়িত করেছেন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দীর্ঘ বছর বঙ্গবন্ধু’র ভাষণ এবং বাঙালির সঠিক ইতিহাস প্রচার করতে দেয়া হয়নি। যে কারনে তরুণ সমাজ মুক্তিযুদ্ধ সহ এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে জানে না। ’৭১ এর পরাজিত শত্রæ আর আর ’৭৫ এর খুনীরা বাঙালিকে দমিয়ে রেখেছে। আজ তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়েতে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ইতিহাস তার ধারাবাহিকায় এগিয়ে চলেছে। সুতরাং আগামী প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানিয়ে তাদের কাছে বাংলাদেশের মর্যাদার আসনে বসাতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী। মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, বিএমএ সালাম, এ্যাড. রজব আলী সরদার, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, কামরুজ্জামান জামাল, শ্যামল সিংহ রায়, মকবুল হোসেন মিন্টু, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, রনজিত কুমার ঘোষ, শফিকুর রহমান পলাশ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মো. ইমরান হোসেন।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এমডিএ বাবুল রানা, নুর ইসলাম বন্দ, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, হালিমা ইসলাম, অধ্যা. আলমগীর কবীর, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, অধ্যা. মিজানুর রহমান, হাফেজ মো. শামীম, অধ্যা. রুনু ইকবাল, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, কাউন্সিলর লুৎফুন নেছা লুৎফা, মো. আমির হোসেন, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, সরদার জাকির হোসেন, মো. মোতালেব হোসেন, মীর বরকত আলী, জামিল খান, মঈনুল হোসেন নাসির, গাজী মোশাররফ হোসেন, চ.ম মুজিবর রহমান, ফেরদৌস হোসেন লাবু, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, গোপাল চন্দ্র সাহা, মো. শিহাব উদ্দিন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, নূরীনা রহমান বিউটি, নুরজাহান রুমি, কাউন্সিলর মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, শবনম সাবা, রেজওয়ানা প্রধান, সাবিহা ইসরাম আঙ্গুর, উর্মিলা নন্দী, কবিতা আহমেদ, হাসিনা বেগম, ফেরদৌসী সাথী, রেখা হাসান, শিরীনা হান্নান, মাকমুদা খানম পাখি, আছমা বেগম, মনোয়ারা বেগম, লুৎফুন্নাহার লিলি, হোসনেয়ারা বেগম, রনবীর বাড়ৈই সচল, মাহমুদুল হাসান শাওন, জহির আব্বাস, মাহামুদুর রহমান রাজেশ, এম এ হোসেন সবুজ, বায়েজিদ সিনা, আব্দুল্লাহ শিপন সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। এ ছাড়া প্রত্যেক ওয়ার্ডে এবং ইউনিয়ন কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু’র ভাষণ প্রচার এবং মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।