November 23, 2024
আন্তর্জাতিকলেটেস্ট

আর্মেনিয়া-আজারবাইজান শান্তি চুক্তি, রাশিয়ার সেনা মোতায়েন

বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখে চলমান সামরিক সংঘাত নিরসনের লক্ষ্যে সোমবার একটি শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও রাশিয়া। মূলত আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। মধ্যস্থতাকারী পক্ষ হিসেবে চুক্তিতে সই করেছে রাশিয়া। রুশ শান্তিরক্ষীও মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান চুক্তিটিতে তার ও দেশের মানুষের জন্য কষ্টদায়ক বলে অভিহিত করেছেন। বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে গত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভূক্ত দেশ দুটির মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এর আগে কয়েক দফায় অস্ত্র ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও তা টেকেনি।

বিতর্কিত ওই অঞ্চলটিকে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের বলে স্বীকৃতি দেয়া হলেও সেটির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আর্মেনিয়ার নৃ-গোষ্ঠীর হাতে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার দেশ দুটি যখন আলাদা হয় তখন থেকেই এই বিবাদ চলছে। নব্বইয়ের দশকের যুদ্ধের পর ১৯৯৪ সালে এটি আর্মেনিয়ার দখলে চলে যায়।

ব্যাপক লড়াই ও যুদ্ধের পর ওই বছর দুই দেশের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল কিন্তু শান্তি চুক্তি হয়নি। নতুন করে সই হওয়া এই শান্তি চুক্তি মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ১টা থেকে কার্যকর হবে।

নতুন চুক্তি অনুযায়ী চলমান সংঘাতে নাগোরনো-কারাবাখের যেসব এলাকা আজারবাইজান দখলে নিয়েছে সেগুলো তাদের দখলেই থাকবে। এ ছাড়া আজারবাইজান সংলগ্ন আরও কিছু এলাকায় আর্মেনিয়ার যেসব সেনা মোতায়েন করা হয়েছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হবে।

এক টেলিভিশন ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, শান্তি প্রক্রিয়া বজায় রাখতে রাশিয়ার ১ হাজার ৯৬০ শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হবে সেখানে। পুতিনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ জানিয়েছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় তুর্কি সেনারাও অংশ নেবে।

পুতিন বলেছেন চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দী বিনিময় করবে উভয় পক্ষ। এ ছাড়া অবরুদ্ধ থাকা সকল অর্থনৈতিক ও পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করে দেয়া হবে। আজেরি প্রেসিডেন্ট বলেছেন এই চুক্তির ঐতিহাসিক মূল্য অনেক।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *