আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপে দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে চিন্তিত ডি মারিয়া
২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে পারেননি অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। যদি খেলতে পারতেন, ভক্তদের বিশ্বাস, সেবারই মেসির হাতে উঠে যেতে পারতো বিশ্বকাপ শিরোপাটা। কিন্তু দুর্ভাগ্য আর্জেন্টিনার, দুর্ভাগ্য মেসির। ডি মারিয়া ফাইনাল খেলতে পারেননি বলে বিশ্বকাপটাও জয় করতে পারেনি মেসি এবং আর্জেন্টিনা।
তবে সেই ডি মারিয়ার হাত ধরেই ইতিহাসটা গড়ে ফেলে লা আলবিসেলেস্তারা। ২০২১ কোপা আমেরিকার ফাইনালে রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে ডি মারিয়ার গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা।
১৯৯৩ সালের পর থেকে গত ২৮টি বছর যে একটিমাত্র ট্রফির জন্য বুভুক্ষ ছিল আর্জেন্টাইনরা, সেই তৃষ্ণার্ত প্রাণে পানির ফোঁটাটা দিয়েছিল ডি মারিয়াই।
শুধু তাই নয়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ফাইনালিসিমা খ্যাত ইতালির বিপক্ষেও আর্জেন্টিনার অন্যতম ভরসার প্রতীক ছিলেন ডি মারিয়া। তার পা থেকে এসেছিল আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি।
সেই ডি মারিয়া ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বিশ্বকাপই শেষ। এরপর আর্জেন্টিনার জার্সিটা খুলে রাখবেন। তবে, তিনি নিজেই এখন নিশ্চিত নন, আগামী বিশ্বকাপে লিওনেল স্কালোনির স্কোয়াডে তার জায়গা হবে কি না।
সম্প্রতি টিএনটি স্পোর্টস নামে একটি পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ডি মারিয়া বলেন, ‘আর্জেন্টিনা দলে একমাত্র একজনেরই জায়গা পোক্ত। তিনি হলেন লিওনেল মেসি। বাকি অন্য আর কারোরই জায়গা নিশ্চিত নয়।
‘চার মাসেরও কিছু বেশি সময় আর বাকি আছে বিশ্বকাপের। কিন্তু আপনি এখনও নিশ্চিত হতে পারবেন না যে, বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকতে পারবেন কি না। আমাকে নতুন ক্লাবে যেতে হবে। আবার সব কিছু মানিয়ে নিতে হবে। খেলতে হবে এবং ভালো থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো অনেক পার্থক্য তৈরি করতে পারে।’
প্যারিসের ক্লাব পিএসজিকে এরই মধ্যে গুডবাই জানিয়ে দিয়েছেন ডি মারিয়া। সাত বছর কাটিয়েছেন তিনি এই ক্লাবে। এরপর কোথায় যাবেন এখনও ঠিক হয়নি। তবে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস আগ্রহী তাকে দলে নেয়ার ব্যাপারে। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, সিরি-আ’র একটি ক্লাব এবং বার্সেলোনা থেকে তিনি আগ্রহের বিষয়টা জানতে পারছেন।
ডি মারিয়া বলেন, ‘জুভেন্টাস হলো ইতালিতে অনেক বড় একটি ক্লাব। তারা আমার প্রতি আগ্রহী। আমি এসব বিষয় নিয়ে এখন কিছুটা ভাবলেও, বর্তমানে পরিবার নিয়েই ছুটি কাটাতে ব্যস্ত।’