আরিয়ানকে অপহরণ করতে চেয়েছিলেন এনসিবির অফিসার সমীর!
পাশা উল্টে গেছে। বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানকে মাদক মামলায় আটক করে নায়ক বনে যাওয়া সমীর ওয়াংখেড়ে এখন নিজেই কাঠগড়ায়। ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) আঞ্চলিক এ পরিচালকের বিরুদ্ধে (মুম্বাই প্রধান) উঠছে কোটি কোটি টাকার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ।
ঘুষ নিয়ে মামলা মীমাংসা, অর্থের বিনিময়ে সাক্ষী জোগাড়, জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে চাকরি নেওয়াসহ একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
আরিয়ান খানকে ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে তিনি ২০ কোটিরও বেশি ঘুষ দাবি করেছিলেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। এইসব অভিযোগের মুখে তাকে এরইমধ্যে আরিয়ানের মামলার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। চলছে তদন্ত।
এবার পাওয়া গেল নতুন অভিযোগ। বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে নাকি অপহরণের পরিকল্পনাও করেছিলেন সমীর! তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন খোদ মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী নবাব মালিক।
ভারতের অন্যতম শীর্ষ সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে।
মন্ত্রী নবাব মালিকের বরাতে সেখানে বলা হয়েছে, ওই ক্রুজ পার্টিতে যাওয়ার জন্য আরিয়ান কোনো টিকিট কেনেননি। প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালা তাকে সেখানে নিয়ে যায়। এটা ছিল অপহরণ ও মুক্তিপণের বিষয়। মুক্তিপণ দাবির মূল হোতা মোহিত কম্বোজ এবং সমীর ওয়াংখেড়ে তার সহযোগী।
মন্ত্রী নবাব মালিক আরও বলেছেন, ৭ অক্টোবর মোহিত কম্বোজ ও সমীর ওয়াংখেড়ে মুম্বাইয়ের ওশিয়ারা কবরস্থানে দেখা করেছিলেন। এরপর ওয়াংখেড়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তার ওপর নজরদারি চলছে।
এদিকে আরিয়ান খানের মাদক মামলার প্রধান তদন্তকারীর দায়িত্ব হারিয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে।এই মামলার দায়িত্ব পেয়েছে এনসিবির দিল্লির বিশেষ টিম। যার নেতৃত্ব দেবেন সঞ্জয় সিং।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর আরিয়ান খানকে মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার দেখায় এনসিবি। এরপর গ্রেপ্তার, রিমান্ড শেষে কারাভোগ। অবশেষে ২৮ দিন কারাভোগ করে গত ৩০ অক্টোবর জামিন নিয়ে ঘরে ফেরেন আরিয়ান। স্বস্তি আসে শাহরুখের পরিবার ও ভক্ত-অনুরাগীদের মনেও।