আরও ৩ রোহিঙ্গা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
আরও তিন রোহিঙ্গার দেহে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, এ নিয়ে শরণার্থী শিবিরে আক্রান্তের সংখ্যা চারজন হল।
কক্সবাজারের উখিয়ায় গাদাগাদি করে শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে বৃহস্পতিবারই প্রথম একজন কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ে।
শুক্রবার নমুনা পরীক্ষায় আরও তিন রোহিঙ্গার দেহে করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবর রহমান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সংগৃহীত কক্সবাজারের ৮টি উপজেলা, ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে মোট ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
“এর মধ্যে ২৩ জনকে পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীর মধ্যে ৩ জন রোহিঙ্গা রয়েছেন।”
তবে নতুন শনাক্ত হওয়া তিনজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারের কোন ক্যাম্পের বাসিন্দা, তা নিশ্চিত করতে পারেননি সিভিল সার্জন।
বৃহস্পতিবার যে রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন, তারা উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা।
সেদিন জেলা সিভিল সার্জন অফিস দুজন রোহিঙ্গা শনাক্তের কথা জানালেও পরে প্রশাসন তা খতিয়ে দেখে জানায়, তাদের একজন রোহিঙ্গা, অন্যজন ক্যাম্পের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা হলেও তিনি বাংলাদেশি।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় ৩৪টি শরণার্থী শিবিরে আছে। তাদের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটার পর গত ১১ মার্চ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প অবরুদ্ধ করা হলেও তার মধ্যেই সংক্রমণ ঘটল।
রোহিঙ্গা শিবিরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ দিয়ে উদ্বেগ রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের।
সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবর জানান, কক্সবাজারে এনিয়ে মোট ১৫১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
শুক্রবার যে ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল ‘পজিটিভ’ এসেছে, তার মধ্যে দুজন পুরনো রোগী। বাকিরা নতুন।
এর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১ জন, চকরিয়া উপজেলায় ১৫ জন, পেকুয়া উপজেলায় ১ জন এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ১ জন। বাকি তিনজন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষায় মোট ১৬৬ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাদের ১৫১ জন কক্সবাজারের হলেও বাকিরা বান্দরবান ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার বাসিন্দা।
কক্সবাজারে রোগী বেশি চকরিয়ায় ৫২ জন, সদরে রয়েছে ৩৭ জন, মহেশখালীতে ১২ জন, টেকনাফে ৭ জন, উখিয়ায় ১৪ জন, রামুতে ৩ জন, কুতুবদিয়ায় ১ জন এবং পেকুয়ায় ২১ জন।