আম্পান: বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস কমে আসছে
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সাগর ক্রমে উত্তাল হয়ে ওঠায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে (লাইটার) পণ্য খালাস কমে আসছে।
কুতুবদিয়া, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজারসহ গভীর সাগরে বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজ রয়েছে ৯৯টি। এসব জাহাজকে সার্বক্ষণিক ইঞ্জিন সচল রাখার এবং গভীর সাগরে নিরাপদ অবস্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ফলে বেশিরভাগ জাহাজ নিরাপদ অবস্থানে চলে যাচ্ছে। যেসব জাহাজের লাইটারিং কাজ শেষ পর্যায়ে এমন কয়েকটি জাহাজেই কেবল পণ্য খালাস চলছে। আবহাওয়া অধিদফতর সতর্ক সংকেত বাড়ালে সেগুলোও গভীর সাগরে চলে যাবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে রোববার (১৭ মে) বিকেলেই আবহাওয়া অধিদফতরের ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেতের ভিত্তিতে ‘অ্যালার্ট -২’ জারি করেছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, সাগর উত্তাল হওয়ায় একটি বড় জাহাজের পাশে আরেকটি ছোট জাহাজ বেঁধে খোলা পণ্য খালাস করা খুবই কঠিন। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেন এটি অ্যালাউ করে না। এ ছাড়া ছোট ছোট লাইটার জাহাজগুলোকে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই নতুন করে কোনো লাইটার জাহাজ বহির্নোঙরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি জানান, বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ হলেও জেটিতে ১৭টি জাহাজে পুরোদমে হ্যান্ডলিং কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ১১টি কনটেইনার জাহাজও রয়েছে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘সাইক্লোন ডিজেস্টার প্রিপার্ডনেস অ্যান্ড পোস্ট সাইক্লোন রিহ্যাবিলেশন প্ল্যান ১৯৯২ অনুযায়ী বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত অভ্যন্তরীণ জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলোকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর উজানে সরিয়ে দিচ্ছে কোস্ট গার্ড।
বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলো ক্রমান্বয়ে কুতুবদিয়া-কক্সবাজার উপকূলে সরে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতর সংকেত বাড়ালে বন্দর কর্তৃপক্ষ অ্যালার্ট-৩ জারি করবে। তখন জেটিতে অবস্থানরত সব জাহাজকে বহির্নোঙরে (সাগরে) সরিয়ে নেওয়া হবে। আপাতত ডাবল রশি দিয়ে জাহাজগুলো জেটিতে শক্ত করে বেঁধে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জরুরি তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বন্দরের নৌ ও পরিবহন বিভাগ দুইটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে।