আবাসিক এলাকায় ডাল, হলুদ, গম ও মরিচ ভাঙ্গার মিল বন্ধের দাবি
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আবাসিক এলাকায় ডাল, হলুদ, গম ও মরিচ ভাংগার মিল বন্ধের দাবি উঠেছে। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আবেদনও জানিয়েছেন ভূক্তভোগি এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর কোতয়ালী থানাধীন টি.বি ক্লিনিক মোড়ে আবাসিক এলাকায়। এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি আর দুর্বিষহ বসবাস বিপর্যস্থ হয়ে পড়ায় খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর আবেদন জানিয়েছেন প্রিয়াংকা দেবনাথ নামের এক স্থায়ী বাসিন্দা।
আবেদন সূত্রে জানা গেছে- অবৈধভাবে আবাসিক এলাকায় পরিবেশগত ছাড়পত্র বিহীন বৃহৎ আকারে বৈদ্যনাথ মিল নামে কারখানা পুনস্থাপন করে ডাল, হলুদ, গম ও মরিচ ভাংগিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে পরিবেশ দূষন করছেন। বিষয়টি নিয়ে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিকারের নিমিত্তে আবেদন করলে সিনিয়র ক্যামিস্ট আতাউর রহমান সরেজমিন তদন্ত করে মতামত প্রদান করেন যে, ‘দীর্ঘদিন পরিবেশগত ছাড়পত্র বিহীন প্রতিষ্ঠানটি আবাসিক এলাকায় পরিচালিত হচ্ছে, ডাল মিলটির পাশে আবাসিক এলাকা বিদ্যমান। ডাল মিলটি পরিচালনার সময় শব্দ ও ধোয়ার সৃষ্টি হয় যা আবাসিক বাড়ির বসবাসকারীদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে পরিবেশ দূষনের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করছে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র ক্যামিস্ট আতাউর রহমান গত ১৩/১০/১৬ইং তারিখে স্মারক নং- ৫৪৫ মূলে ৩০ দিনের মধ্যে অবৈধভাবে পুনঃস্থাপনকৃত মিলটি বন্ধ করে পরিবেশসম্মত স্থানে স্থানান্তর করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন। কিন্তু এরপরেও থেমে থাকেনি মিলটি। বরং অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে ভোর থেকে মিলের কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় দিনভর চরম ভোগান্তি আর দূর্বিসহ জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে এলাকাবাসী।
পরিবেশ অধিদপ্তর, পৌরসভা, ফায়ার সার্ভিস, কল-কারখানা সংক্রান্ত বিদ্যুৎ লাইনের যেমন অনুমোদন নেই তেমনি মিলের চারপাশে আবাসিক এলাকা থাকায় চরম শব্দ ও বায়ু দূষন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বিঘ্ন, শারীরিক অসুস্থ্যতা আর নানাবিধ সমস্যা নিরসনে গত ১৫জানুয়ারী ’১৯ পুনরায় পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করেছেন এলাকাবাসীর পক্ষে প্রিয়াংকা দেবনাথ।