আবারও উত্তপ্ত খুলনা-যশোর অঞ্চলের পাটকল সেক্টর, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
জয়নাল ফরাজী
আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে খুলনা-যশোর অঞ্চলের পাটকল সেক্টর। এবার জাতীয় মজুরী কমিশন ও উৎপাদনশীলতা কমিশন ২০১৫ এর রোয়েদাদ বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে ছয়দিনের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলের শ্রমিক নেতারা।
গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলে সিবিএ ও নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে গেট সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগ্রাম পরিষদের আহŸায়ক মোঃ সরদার আব্দুল হামিদ।
সমাবেশ চলাকালে বক্ততৃা করেন প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএর সভাপতি সাহানা শারমিন, হুমায়ন কবির খান, খালিশপুর জুট মিলে দ্বীন মোহাম্মদ, শেখ মোঃ ইব্রাহিম, গাজী মোশারেফ, সেলিম শিকদার, ক্রিসেন্ট জুট মিলে দ্বীন ইসলাম, মাওঃ হেমায়েত উদ্দিন আজাদী, মুরাদ হোসেন, স্টার জুট মিলে বেল্লাল মল্লিক, আঃ মান্নান, আবু হানিফ, গাজী মাসুম, আলিম জুট মিলে আঃ হামিদ সরদার, সাইফুল ইসলাম লিটু, হারুন অর রশিদ মল্লিক, ইষ্টার্ন মিলে মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, জেজেআই মিলে হারুন অর রশিদ মল্লিকসহ অন্যরা এ সময় বক্তৃতা করেন। এছাড়া অনুরূপ কর্মসুচি অন্যান্য মিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামীকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজপথে ভূখা মিছিল। আগামী ২৭ নভেম্বর (বুধবার) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্ব স্ব মিল গেটে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি। ২ ডিসেম্বর (সোমবার) রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল। ৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালন, ধর্মঘট চলাকালে বিকাল ৪টায় স্ব স্ব মিল গেটে শ্রমিক সমাবেশ। ৮ ডিসেম্বর (রবিবার) সকাল সাড়ে ৯টায় গেট সভা ও শপথ গ্রহণ। ১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ৮টা থেকে স্ব স্ব মিল গেটে শ্রমিক-কর্মচারীদের পোষ্যদের নিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু।
উলেখ্য, পাটকল শ্রমিকদের মজুরী কমিশন বাস্তবায়ন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) বাতিল, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পি,এফ, গ্রাচ্যুইটির টাকা প্রদান, খুলনাসহ দেশের সকল পাটকল শ্রমিকদের সপ্তাহিক মজুরী নিয়মিত পরিশোধ, পাট মৌসুমে পাট ক্রয়ের অর্থ বরাদ্দসহ শ্রমিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে গত ১৭ নভেম্বর ঢাকায় বিজেএমসি কার্যালয়ে বাংলাদেশ পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের জরুরী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ আন্দোলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।