January 22, 2025
জাতীয়

আবরার হত্যা মামলায় জিয়নের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আরেক আসামি মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন। পাঁচ দিনের রিমান্ডের চার দিন শেষে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-ক্রীড়া সম্পাদক জিয়নকে শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনসারী তার  জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন।

বুয়েটের মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পঞ্চদশ ব্যাচের ছাত্র জিয়ন হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের দপ্তর থেকে জানানো হয়।

বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত রোববার রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন যে ১০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে, তাদের একজন হলেন জিয়ন। ওই ১০ জনকে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়ে গত ৮ অক্টোবর থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ।

তাদের মধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইফতি মোশাররফ সকাল বৃহস্পতিবার প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে গত রোববার রাতে ওই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আবরারকে কীভাবে ক্রিকেট স্টাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল, সেই ভয়ঙ্কর বিবরণ এসেছে বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সকালের জবানবন্দিতে। এ মামলায় মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ, যাদের মধ্যে আবরারের রুমমেট মো. মিজানুর রহমানও আছে।

ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মিজানকে শুক্রবার আদালতে হাজির করা হলে মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনসারী তাকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো আবেদন করা হয়নি।

আবরারের বাবার করা হত্যা মামলায় ১৯ জনের মধ্যে মিজানের নাম ছিল না। তবে তদন্তে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *