November 24, 2024
জাতীয়

আবরার হত্যায় জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত : ওবায়দুল কাদের

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আবরারের এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত আজ আর কাল, আমার মতে তো মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত। আদালত কী করবে জানি না।

মৃত্যুদণ্ড হওয়া মানে কয়েকটা ব্রিলিয়ান্ট ছেলে বাংলাদেশের মেধাবী কয়েকটা সন্তান চলে গেল, হারিয়ে গেলে দেশ তো ক্ষতিগ্রস্ত হল! শুধু আবরারের জন্য নয় যারা এ অপকর্মটি করেছে তাদের জন্য, তারাও তো মেধাবী ছাত্র। এমনকি ভ্যান চালায় পিতা এমনও তো আছে।

যাদের কারণে এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা ‘খুনি’ হয়েছে তাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগ সার্বিকভাবে তো এ ঘটনার সাথে জড়িত না। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কত ক্ষতিকর সরকার নিশ্চয়ই বিব্রত হয়েছে। রুলিং পার্টির ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে হয়েছে, এটার সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে এ ধরনের সিদ্ধান্তে জড়িত করা ঠিক নয়।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী কাদের বলেন, এ ধরনের ব্যাপার বিচ্ছিন্নভাবে ঘটনা যারা ঘটিয়েছে ‘কেইস টু কেইস’ বিচারও হচ্ছে। গুটি কয়েকের জন্য গোটা পার্টিকে তো দায়ী করতে পারি না। সরকার ক্ষমতায় আছে আমাদের দায় আছে, এ ধরনের ঘটনায় সরকার ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। আমরা বিবেকের রায় থেকে ত্বড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছি। বুয়েট শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়ায় তাদের এখন আন্দোলন বাদ দিয়ে ক্লাসে ফিরে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপি আবরার হত্যাকাণ্ডকে কাজে লাগিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আববার হত্যাকাণ্ডে আমরা ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মূল ঘটনার সাথে জড়িত তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপির কোনো উদ্বেগ নেই, এটি নিয়ে তারা আন্দোলন করতে চায়। তা না হলে তারা এখনও কেন উস্কানি দেবে? এখানে তাদের আন্দোলনের ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে উস্কানি দিয়ে, দেশে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করা যায় কি না।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পেছনে তাদের ভূমিকা আছে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, না সেভাবে আমি বলব না, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেক আবেগ আছে, সেন্টিমেন্ট আছে। আমি তাদের অনুরোধ করেছি পড়াশোনায় ফিরে যাওয়ার জন্য।

সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখা হলে ভালো হত, দেখা হয়নি। আমি যে দিন পৌছেছি তার আগের দিন সে চলে আসে।

বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিএনপির বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত দিল কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, হার্ডলাইনে যাওয়ার পক্ষপাতি আমরা না। আমরাও চাই না কোন প্রকার সংঘাতে যেতে।

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *