আবজাল-রুবিনা দম্পতির বিরুদ্ধে ৩১৯ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা পাচার এবং ৩৪ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলা দুটি দায়ের করেন বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় দায়ের করা দুটি মামলাতেই আবজালকে আসামি করা হলেও তার স্ত্রীকে শুধু একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে, যাতে রুবিনাই প্রধান।
এই মামলার এজাহারে বলা হয়, রুবিনা খানমের নামে ট্রেড লাইসেন্স খুলে তার স্বামী আবজাল হোসেনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কথিত ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সংশ্লিষ্ট মালামাল সরবরাহের নামে অবৈধভাবে অনৈতিক প্রক্রিয়ায় আর্থিকভাবে লাভ হওয়াসহ স্বামীর অবৈধ আয়কে বৈধ করার পূর্বপরিকল্পনায় নিজ নামে ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং রূপা ফ্যাশনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চালু করে।
এসব অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময়ে আসামিরা তাদের অপরাধজনক আয়ের ২৬৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৪ হাজার ৭২৩ টাকা জমা করে পরবর্তিতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ওই টাকা বিভিন্ন উৎসের মাধ্যমে স্থানান্তরের মাধ্যমে পাচার করেন বলে মামলায় উলেখ করা হয়। এছাড়া রুবিনার নামে মোট ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার অবৈধ রয়েছে।
আবজালকে একমাত্র আসামি করে দায়ের অপর মামলার এজাহারে বলা হয়, তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মরত একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকা অর্জন করে তা পাচার করেছেন।
এছাড়া তিনি দুই কোটি এক লাখ ১৯ হাজার ৭৮৫ টাকা গোপন করাসহ চার কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে মামলায় উলেখ করা হয়।