আফ্রিকা হতে পারে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরবর্তী কেন্দ্র: ডব্লিউএইচও
আফ্রিকা মহাদেশ করোনাভাইরাস মহামারী ছড়ানোর নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সেখানকার অন্তত ৩ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে এবং প্রায় তিন কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার নিচে ঠেলে দিতে বলে জাতিসংঘের কর্মকর্তারাও আশঙ্কা করছেন।
বিবিসি বলছে, গত সপ্তাহে আফ্রিকাজুড়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যায় বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখার পর সেখানকার প্রায় ১৩০ কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।
আফ্রিকার জন্য গঠিত জাতিসংঘের বিশেষ অর্থনৈতিক কমিশন মহাদেশটির জন্য একশ কোটি ডলারের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে। এ বলয়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত।
জাতিসংঘের এই কমিশনই কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে কোভিড-১৯ এ আফ্রিকায় তিন লাখ মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
করোনাভাইরাস এরই মধ্যে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের রাজধানী থেকে অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মহামারী মোকাবেলায় এ দেশগুলোর হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভেন্টিলেটরও নেই, বলছে তারা।
আফ্রিকার মোট জনগোষ্ঠীর এক তৃতীয়াংশেরও বেশি সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত; শহুরে অধিবাসীদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই বিভিন্ন বস্তিতে গাদাগাদি করে থাকে। এসব কারণে করোনাভাইরাস আফ্রিকায় ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলেও অনুমান ডব্লিউএইচও’র।
শুক্রবার পর্যন্ত আফ্রিকায় প্রায় ১৯ হাজার মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে; মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজারের কাছাকাছি।
উত্তর আফ্রিকার আলজেরিয়া, মিশর ও মরোক্কোতে সংক্রমণের হার অন্যদের তুলনায় বেশি দেখা যাচ্ছে। আলজেরিয়াতেই ৩৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দেশদুটিতেও আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার পেরিয়ে গেছে, মৃত্যু ১০০-র বেশি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়ালেও মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের।
২০ কোটি জনসংখ্যার নাইজেরিয়ায় শুক্রবার পর্যন্ত ৪৪২ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে; মৃত্যুর খবর মিলেছে ১৩ জনের।