আফ্রিকায় শিল্পায়নের হাত ধরে দারিদ্র্য নির্মূলের আশা জাতিসংঘের
আফ্রিকার দেশগুলোতে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য শিল্পায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পায়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলের পরনির্ভরশীলতা এবং দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে জাতিসংঘ। শনিবার (২০ নভেম্বর) আফ্রিকার শিল্পায়ন দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় এ কথা জানিয়েছে বৈশ্বিক সংস্থাটি।
আফ্রিকার জন্য দ্বিতীয় শিল্পোন্নয়ন দশক কাঠামোর আওতায় (১৯৯১-২০০০) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৮৯ সালে ২০ নভেম্বরকে আফ্রিকার শিল্পায়ন দিবস ঘোষণা করে। সেই থেকে মহাদেশটিতে শিল্পায়নের গুরুত্ব এবং তাদের নানা চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্বব্যাপী বিশেষ আয়োজন করে সংস্থাটি।
এ বছর দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বিশেষ বার্তায় জাতিসংঘ বলেছে, আফ্রিকায় শিল্প খাতে নতুন যন্ত্রপাতি ও নতুন কৌশল প্রবর্তনের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা ও কর্মশক্তির সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। এভাবে নতুন কর্মসংস্থান ও সম্পদ সৃষ্টি হলে তা দারিদ্র্য দূরীকরণে যথেষ্ট অবদান রাখবে।
জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (ইউএনআইডিও) হিসাবে, করোনাভাইরাস মহামারির আঘাত সামলে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে আফ্রিকার অর্থনীতি। মহামারির কারণে ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ অঞ্চলে উৎপাদনশীলতা কমে গিয়েছিল ১৭ দশমিক ১ শতাংশ।
কিন্তু সেই ধাক্কা কাটিয়ে আবারও গতি ফিরেছে আফ্রিকার অর্থনীতিতে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের উৎপাদনশীলতা বেড়েছে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
ওই তিন মাসে আফ্রিকার অনেক দেশেই উৎপাদন খাতে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যেমন- দক্ষিণ আফ্রিকার উৎপাদন বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ, রুয়ান্ডার ৩০ দশমিক ২ শতাংশ, সেনেগালের ২২ দশমিক ৬ শতাংশ ও নাইজেরিয়ার ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।