আফিলগেটে তিন শতাধিক পরিবার এক মাস ধরে পানিবন্দি
ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি
পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় আষাঢ়ের বৃষ্টির পানিতে আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আফিলগেট ফকিরপাড়া, খাঁ পাড়াসহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় মাসব্যাপী পানিবন্দি হয়ে মানবেতার জীবনযাপন করছেন তিন শতাধিক পরিবার। এদিকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদনও করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, পানিবদ্ধতায় আফিলগেটের ফকিরপাড়া, খাঁপাড়া এলাকার ৩ শতাধিক বাড়ির চারপাশ ও উঠানে পানি জমে আছে। পানি জমে থাকায় রান্নাসহ চলাচলে চরম বিপদে রয়েছে পনিবন্দি পরিবারগুলো।
ফকিরপাড়া জামে মসজিদের মুসাল্লি কামরুল ইসলাম বলেন, মসজিদটি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, যার কারণে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে আসলেও ভোগান্তিতে পড়ছে।
ফকিরপাড়ার এলাকার স্থানিয় বাসিন্দা ৩৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মানবকল্যান সংগঠন খানজাহান আলী থানার সভাপতি শেখ কিবরিয়া বলেন, জন্মের পর থেকেই তারা দেখে আসছেন এই এলাকায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন এর কোন ব্যবস্থা নেয়। পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টির পানি জমে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা স্থানীয় ইউপি সদস্যকে একাধিকবার বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু তিনি এসে দেখে গেলেও এর কোন সমাধান হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা লিয়া ফকির বলেন, নিষ্কাশনের পথ না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেও পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পানি বাড়ির উঠানে উঠে আসে। আমারা দীর্ঘ একমাস ধরে এই অবস্থায় জীবন জাপন করছি।
অপর বাসিন্দা কাশেম খান বলেন, ময়লা ও নোংরা পানিতে আমাদের হাতে পায়ে ঘাসহ ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব বিপদে আছি।
আটরা-গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের নিয়ে আমরা পানি নিষ্কাশনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। বিভিন্ন কারনে সেটা সম্ভব হয়নি, আমরা আবার এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে বসবো, মূলত পানি নিস্কাশনে স্থায়ীভাবে সমাধান দরকার। ইতিমধ্যে আটরা বিহারী কলোনি দিয়ে পানি নিস্কাশনের কাজ শুরু করা হয়েছে ওই এলাকার সকল পানি ভৈরব নদিতে গিয়ে নামবে। ফকিরপাড়া এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য কোন ফান্ড এ মুহুর্তে বরাদ্দ নেই, তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা, সাধারণ মানুষ এর ভোগান্তির ব্যাপারে আমি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর সাথে বিষয়টি ভালোভাবে জেনে অতিদ্রুত পানি নিস্কাশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়