‘আপাতত বাড়াবে না ভোজ্য তেলের দাম’
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোজ্য তেলের দাম বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনা করে যেটা সুবিধাজনক হয় সেটি করা হবে। আপাতত বাড়াবে না ভোজ্য তেলের দাম, তারা নিজেরা নিজেরা কিছু দাম বাড়িয়েছিলেন আমাদের না জানিয়ে। সেটাও তারা (ব্যবসায়ী) বলেছেন যে, কনসিডার করবেন’।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভোজ্য তেল আমদানিকারকরা বার বার বলছেন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। সে ক্যালকুলেশনে এটা ফিক্সআপ করি সেখানে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। আমার অসুস্থতার জন্য তারা অপেক্ষা করেছে। আজকের আলোচনায় তেমন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমরা বলেছি, এখন যে দাম আছে তার থেকে কিছুটা হলেও কমাতে চেষ্টা করুন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করব। এজন্য আন্তর্জাতিক মার্কেট, ডিউটি স্ট্রাকচার সব দেখে ১৫ দিন পর বসে সিদ্ধান্ত নেবে।
সামনে তেলের দাম কমার সম্ভবনা আছে-কিনা জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, এটা এই মুহূর্তে বলা ঠিক হবে না। সেজন্য এক্সপার্ট আছে। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতও তেল আমদানি করে। তাদের দাম কতে? তাদের মার্কেটে আজকের মার্কেটে ১৭০ বিক্রি হচ্ছে বলে শুনেছি। এমন কিছু গ্রো করতে পারি না, যাতে জনগণ ভোগান্তিতে পড়ে। ভারতের সুবিধা তাদের ডিউটি স্ট্রাককচার আমাদের তুলনায় কম। আমাদের এখানে ১৮-২০ শতাংশ সেখানে তাদের ৫ শতাংশ’।
টিসিবি অপারেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘টিসিবির অপারেশন রমজান মাসে ৪০০ ট্রাক করি, এবার ৭ থেকে ৮শ করছি। বিশ্ববাজারে তেলের দামটা একই রকম আছে। বিভিন্ন ফ্যাক্টর আছে, যদি এই ১৫ দিনে যদি দেখি দাম ৫০ ডলার কমেছে সেভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
রোজার সময় দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সামনে রমজান, রোজার ঈদও আছে। সেজন্য তাদেরকে অনুরোধ করেছি, তারা স্বাভাবিকভাবে এলসি ওপেন করবে। এরপর বসে একটা সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা কথায় কথায় আল্লাহ খোদার কথা বলি, কাজের সময় উল্টোটা করি। তখন ইচ্ছা মেশিন নষ্ট হয়, মানুষের ভোগান্তি হয়। পৃথিবীজুড়ে এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় ডিসকাউন্ট চলে। আমাদের এখানে উল্টোটা, ঈদ এলেই দাম বাড়ে’।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেল সয়াবিন ও পাম তেলের বৃদ্ধির জন্য চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে দাম বাড়ানোর বিষয়ে জানানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণলায় বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ট্যারিফ কমিশনে পাঠায়। এখন এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১শ ৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১শ ৩৬ টাকা নির্ধারিত আছে। ৮ টাকা দাম বাড়িয়ে ১শ ৬৮ টাকা দাম নির্ধারণের দাবি জানানো হয় চিঠিতে।