December 23, 2024
জাতীয়

আন্দোলনের বিকল্প নেই : ফখরুল

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য জনগণের আন্দোলনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাসদ সৃষ্টি হয়েছিল স্বাধীনতার মূল চেতনাকে গড়ে তোলার জন্য। সেই লড়াই জাসদ এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য! আমাদের ঠিক একই কথা স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এসেও বলতে হচ্ছে যে, আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই। বর্তমানে দেশে রাজনীতির যে গভীর সংকট চলছে, জনগণের অভ্যুত্থান বা জনগণের আন্দোলন ছাড়া সেটির সমাধান কখনোই সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। এখন খালেদা জিয়া আইনগতভাবে জামিন পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আজকে যারা জোর করে ক্ষমতায় বসেছে, তারা জানে খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে তাদের যে রাজনৈতিক নীলনকশা সেটা পরিপূর্ণ করতে পারবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবো। আমাদের গণতান্ত্রিক-অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে, আমরা স্বাধীন-মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস গ্রহণ করতে পারবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, আওয়ামী লীগ সরকার তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার এই স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে।

ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল আওয়ামী লীগ। সেদিন তারা মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করেছিল। এখন আবার তারা ভিন্ন আঙ্গিকে ভিন্ন মুখোশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে।

‘আমরা অত্যন্ত আশা নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলাম। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সংগ্রাম জয় করতে চেয়েছিলাম। আমরা পারিনি। কিন্তু আমাদের পারতে হবে, আমাদের আরও বৃহত্তর ঐক্য তৈরি করতে হবে। শুধু ঐক্যফ্রন্ট এবং অন্যান্য কোনো জোট নয়, দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের লড়াই করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে এবং দেশনেত্রী খালেদাকে মুক্ত করতে হবে।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিকল্প ধারার সভাপতি নূরুল আমিন বেপারী,  জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *