আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সিপিবি নারী সেলের আলোচনা সভা
খবর বিজ্ঞপ্তি
“নারী মুক্তিই মানব মুক্তি” এবং “নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য-শোষণ ও নির্যাতন রুখে দিই” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটি (সিপিবি) নারী সেল, খুলনা’র উদ্যোগে এক আলোচনাসভা গতকাল বিকেল ৫টায় সিপিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। নারীনেত্রী অরুণা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সুতপা বেদজ্ঞের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস এবং কমিউনিস্টদের ভূমিকা প্রসঙ্গে ধারণপত্র পড়ে শোনান জাহানারা আক্তারী। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নারীনেত্রী রুসু আক্তার, মিনু পাল, এ্যাড. নাজমা আক্তার, শামীমা জাহান সাথী, নাজমা বেগম প্রমুখ। এ সময়ে নারী দিবসের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন সিপিবি’র খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এম এম রুহুল আমীন, মহানগর সভাপতি এইচ এম শাহাদাৎ, সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, এ্যাড. নিত্যানন্দ ঢালী, নিতাই পাল প্রমুখ। আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, নারীমুক্তি ও মানবমুক্তি একই সূত্রে গাঁথা। নারীর উন্নয়ন বা মুক্তি বাদ দিয়ে মানবতার মুক্তি বা উন্নয়ন সম্ভব নয়। দুঃখজনকভাবে ধর্মীয় কুসংস্কার, বিবর্তনের ধারায় পুরুষতান্ত্রিকতা নারী সমাজকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে সমগ্র মানবজাতিকে। আমাদের দেশে ঐতিহাসিকভাবে নারীদের মধ্যেও একধরনের অধস্তন মানসিকতা এবং চর্চা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে। যেটা সচেতন বা অচেতনভাবে পুরুষদের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়। কিন্তু মানবতার উন্নয়নের স্বার্থেই এ বেড়াজাল ভাঙতে হবে। এ লক্ষ্যে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বক্তারা আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের ক্ষেত্রে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট নেত্রী ক্লারা জেটকিনের ভূমিকাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংগঠনিক মাসের দাবীসমূহ যথা খুলনার বন্ধ শিল্প-কারখানা চালু, শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ, যুগোপযোগী নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোল ও পরিকল্পিত প্রকল্প গ্রহণ করে উচ্ছেদকৃত হকারদের পুনর্বাসন করো। মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা-ক্ষতিকর পলিথিন উৎপাদন-বাজারজাত নিষিদ্ধকরণ ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করো। জরিপ করে মহানগরীর ইজিবাইকের সংখ্যা নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরিকল্পিত নগর পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করো। মাদকমুক্ত খুলনা গড়তে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি-গণসচেতনতা বৃদ্ধি ও আইন প্রয়োগে সচেষ্ট হও। যানজট নিরসন ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে মহানগরীর ব্যস্ততম সড়কগুরোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, রোড ডিভাইডার, ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করো। মশামুক্ত খুলনা গড়তে নিয়মিত মশা নিধনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঔষধ ছিটানো, মশার প্রজনন-বংশবৃদ্ধির সময় ও স্থান নির্ধারণপূর্বক মশানিধন কার্যক্রম নিশ্চিত করো। পরিবেশ-প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে নদী-খাল-পুকুর-জলাশয়-সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করো। বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।