আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন রূপায়ন চেয়ারম্যান
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় আদালতের আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন রূপায়ন গ্র“পের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী রবিবার ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
ওই আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শেখ রকিবুল ইসলাম বলেন, এজাহারে নাম থাকা লিয়াকত আলী খান মুকুল আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৮ মার্চ ঢাকার বনানীতে অগ্নিকাণ্ডে যে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন নিহত হয়েছিলেন, সেই ভবনটি নির্মাণ করেছিল রূপায়ন গ্র“প। ওই ভবনের জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক এবং বিভিন্ন তলাগুলোর মালিকদের সংগঠনের সভাপতি তাসভীর-উল ইসলাম এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কিছু তিন কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পান। শুনানিতে রূপায়ন গ্র“পের চেয়ারম্যানের আইনজীবী অন্য দুই আসামির জামিন পাওয়ার কথা উলেখ করেন।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, এফ আর টাওয়ার বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি করা হয়। আগুনের ঘটনার সঙ্গে আসামি জড়িত না। তিনি ঘটনার শিকার। আসামি বয়োবৃদ্ধ মানুষ। আসামির বিরুদ্ধে আনা দণ্ডবিধির ৪৩৬ ধারার অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয়। আসামি জামিন পাওয়ার হকদার
কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে যেখানে ২৩ তলা এফআর টাওয়ার নির্মাণ করা হয়, সেই জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী ফারুক। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। সে কারণে সংক্ষেপে ভবনের নাম হয় এফআর টাওয়ার।
আধাআধি ভাগ হলেও রূপায়ন পরে বিভিন্ন ফ্লোর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেয়। এর মধ্যে ২১, ২২ ও ২৩ তলার মালিকানা নেয় প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, যার মালিক হলেন তাসভীর।
আগুন লাগার পর তদন্তে উঠে আসে, ১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে ভবনটি ২৩ তলা করা হয়েছিল এবং অগ্নি নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থাও সেখানে ছিল না। তখন বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত থানায় একটি মামলা করেন, তাতে ফারুক, তাসভীর ও মুকুলকে আসামি করা হয়।
মামলায় অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে মানুষের জানমালের ক্ষতি করা, অবহেলার ফলে মৃত্যু সংঘটন, তাচ্ছিল্যপূর্ণ কার্যকলাপের ফলে অপরাধজনক অগ্নিকাণ্ডে মানুষের প্রাণহানি, মারাত্মক জখমসহ সম্পদের ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। তাসভীর ও ফারুককে গ্রেপ্তার করলেও রূপায়ন গ্র“পের চেয়ারম্যান মুকুল পলাতক ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছিল। এখন তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন।