December 26, 2024
জাতীয়

আদম ব্যাপারীর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কেশবপুরের এক পরিবার

 

কেশবপুর প্রতিনিধি

উত্তর সাইপ্রাসে করুন মৃত্যুর পরও আদম ব্যাপারীর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কেশবপুরের কাজী শহিদ কবিরের পরিবার। কেশবপুর উপজেলার চিংড়া গ্রামের কাজী শহিদ কবিরের স্ত্রী দিলরুবা পারভীন জানান, আমাদেরকে ভালো রাখার জন্য আমার স্বামী কাজী শহিদ কবির (৪০) বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করলে তিতি এলাকার চিহ্নিত আদম ব্যাপারী ডাঃ মফিজুর রহমানের খপ্পরে পড়েন। মফিজুর রহমান তার এক নিকট আতœীয় সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ভাগবা গ্রামের সাইপ্রাসে কর্মরত সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে তার স্বামীকে অধিক সূযোগ-সুবিধা ও কম পরিশ্রমে মোটা অংকের টাকা বেতনের লোভ দেখিয়ে উত্তর সাইপ্রাসে পাঠাবার প্রলোভন দেখান। আমার স্বামী কাজী শহিদ কবির সাইপ্রাসে কর্মরত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ঝর্না বেগমের নিকট প্রথমে ১ লাখ টাকা ও পরে ৭ লাখ টাকা প্রদান করে। চলতি বছরের প্রথম দিকে আমার স্বামী কাজী শহিদ কবির উত্তর সাইপ্রেসে যাওয়ার পর সেখানে কোন সূযোগ-সুবিধার লেশ মাত্র ছিল না।

দক্ষিণ সাইপ্রাসে যাওয়ার কথা বলে প্রতারক সাইফুল ইসলাম তার স্বামীর নিকট থেকে ৩ মাসের বেতন কেটে নেয়। বাড়িতে টাকা পাঠানো তো দূরের কথা নিজের খাওয়ার টাকা না থাকায় বাধ্য হয়ে ওভার টাইম করতে থাকে। ১ জুলাই অধিক পরিশ্রমের কারণে আমার স্বামী হটাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার সহকর্মীদের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ জুলাই তার স্বামী কাজী শহিদ কবিরের মৃত্যু হয়। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর লাশ দেশে পাঠানোর কথা বলে প্রতারক সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ঝরনা বেগম আমাদের নিকট মোটা অংকের টাকা দাবী করে ফোন করতে থাকে। এক সপ্তাহ পর আমার স্বামীর কর্মরত কোম্পানী মালিক তার নিজস্ব অর্থায়নে লাশ দেশে পাঠান।

তিনি আরও বলেন, বর্র্তমানে আমি আমার সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। অথচ প্রতারক সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ঝরনা বেগম লাশ দেশে পাঠানোর খরচের কথা বলে আমাদের নিকট মোটা অংকে অর্থ দাবী করে হয়রানি করছে। এব্যাপারে দিলরুবা পারভীন তার স্বামী কাজী শহিদ কবিরের করুন মৃত্যুর ঘটনায় আদম ব্যাপারী ডাঃ মফিজুর রহমান, প্রতারক সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ঝরনা বেগমের শাস্তির দাবী জানান।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *